মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানসহ কয়েকটি দেশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেডিকেল টিম পাঠানো হচ্ছে বলে খবর প্রকাশের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ায় এর ব্যাখ্যা দিয়েছে নয়া দিল্লি সরকার। শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক ব্যাখ্যায় বলে যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর র্যাপিড রেসপন্স টিম (আরআরটি) কোন দেশে পাঠানো হচ্ছে না। তবে কেউ চাইলে পাঠানো যেতে পারে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীভাস্তভা এই খবরকে বিভ্রন্তিকর দাবি করে বলেন, মালদ্বীপ ও কুয়েতের মতো দেশে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ডাক্তার, নার্স ও প্যারামেডিকদের সমন্বয়ে গঠিত আরআরটি মোতায়েনের অনুরোধে আমরা দ্রুত সাড়া দিয়েছি। তাই অন্যান্য বন্ধুপ্রতীম দেশও যদি আরআরটি’র জন্য অনুরোধ করে তাহলে স্বল্প সময়ের নোটিশে যেতে তারা প্রস্তুত রয়েছে। পররাষ্ট্র দফতরের সূত্র বলে, আমরা টিমগুলোকে প্রস্তুত অবস্থায় রেখেছি, যাতে অনুরোধ পাওয়ামাত্র পাঠানো যায়। এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। করোনা দমনে সহায়তার করার জন্য ভারতের সামরিক বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের সিনিয়র কর্মকর্তারা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ওই ব্যাখ্যা দেয়। শুক্রবার আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জাভেদ ফয়সাল আরব নিউজকে বলেন যে, কাবুল কখনোই এ ধরনের অনুরোধ করেনি। দিল্লির কাছ থেকেও এ রকম প্রস্তাব আসেনি। এটা ভুয়া রিপোর্ট এবং ভুয়া ধারণা। এর আগে বুধবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন নিউ এজ পত্রিকাকে বলেন যে, বাংলাদেশের কোন বিদেশী বাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন নেই। মোমেন বলেন, এমন সহায়তা আমাদের দরকার নেই। আমরা বরং বিভিন্ন দেশে টিম পাঠাচ্ছি। মালদ্বীপ, ভুটান, কুয়েত ও চীনে বাংলাদেশের চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোর কথা উল্লেখ করেন তিনি। শ্রীলঙ্কাও সাফ জানিয়ে দেয় যে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তার কোন বিদেশী সেনাবাহিনীর সহায়তার প্রয়োজন নেই। প্রতিরক্ষা সচিব মেজর জেনারেল (অব.) কমল গুনারত্মে কলম্বোতে সাংবাদিকদের বলেন: ভাইরাস মোকাবেলায় শ্রীলঙ্কার তিন বাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ইতোমধ্যে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে শ্রীলঙ্কা। একটি দেশ কিভাবে অত্যান্ত ছোঁয়াচে একটি রোগের বিস্তার কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য সেনা ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার গোয়েন্দা বাহিনীকে ব্যবহার করতে পারে সেটা শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে বিভিন্ন দেশ শিখতে পারে। ৩ এপ্রিল ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মূলত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর টিমের বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির কারণ হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিলো: প্রতিবেশী দেশগুলোকে সাহায্য করার জন্য নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজ প্রস্তুত করা হয়েছে। মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও আফগানিস্তানে যাওয়ার জন্য পাঁটি মেডিকেল টিমও প্রস্তুত হয়ে আছে। দি হিন্দু, এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।