মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাবা-চাচা প্রতিনিয়ত মেয়েটির মা ও ভাইবোনেদের উপর অত্যাচার চালাত। চাচা তাদেরকে গুলি করে মারার জন্য মেয়েটির হাতে একটি পিস্তলও দিয়েছিল। নিরুপায় মেয়েটি অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। মৃত্যুর চার দিন পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তার আত্মহত্যার ভিডিও। এর মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আগ্রার দেবরি রোডের শান্তিনগর এলাকার ঘটনা। গত ১৬ এপ্রিল নিজের ঘরেই ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় কিশোরীর দেহ। পুলিশ হওয়ার ইচ্ছে ছিল বছর ১৬ বছরের কিশোরীর। কিন্তু সে আত্মঘাতী হয়েছে। চার পাতার একটা সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়। একটি দেশি পিস্তলের নীচে চাপা দেয়া ছিল সেটি। সুইসাইড নোটে মেয়েটি লিখেছে, ‘বাঁচতেই চেয়েছিলাম। নিজেকে পুলিশ অফিসার হিসেবে দেখতে চেয়েছিলাম। কারণ আমার মা ও ভাইবোনেদের ন্যায়বিচার দেব ভেবেছিলাম। কিন্তু জীবনটা শেষ করে দিচ্ছি। কারণ আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। সম্পত্তির কারণে আমরা চারজন প্রতিনিয়ত বাবা, দুই চাচা ও দুই চাচাতো ভাইয়ের দ্বারা মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচারিত হয়ে এসেছি।’ তার চাচা একটি দেশি পিস্তল দিয়ে তাকে মা ও দুই ভাইবোনকে মেরে ফেলতেও বলেছিল বলে জানিয়েছে মেয়েটি। সে বলেছে, ‘এটা না-করলে কঠিন মূল্য চোকাতে হবে বলে হুমকি দেয় ওরা। তাই নিজেকেই শেষ করে দিলাম।’
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মেয়েটি বলছে, তার ৩৮ বছরের মা ও দুই ভাইবোনকে মেরে ফেলতে বলেছিল তার চাচা। নিজে হাতে সেই কাজ করতে না-পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় কিশোরী। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে তার বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মেয়েটির মায়ের অভিযোগ, ‘পরিবারের চার পুরুষ সদস্য ১৬ এপ্রিল সকালে আমাদের মারধর করে। এরপর আমি একটি কাজ করতে বাইরে যাই। দুপুরে ফিরে এসে দেখি ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে।’
সদর থানার স্টেশন হাউস অফিসার কমলেশ কুমার সিংহ জানিয়েছেন, ‘ময়নাতদন্তে জানা গেছে, গলায় দড়ি দিয়েই মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হলেও, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করা হয়েছে। আমরা মেয়েটির বাবাকে গ্রেফতার করেছি। তবে বাকিরা পলাতক। মেয়েটি আত্মহত্যা করার আগে যা যা বলেছে, আমরা সব খতিয়ে দেখছি। এই মামলায় আরও কিছু ধারা যুক্ত হবে।’ সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।