পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসকে উপলক্ষ করে বিপজ্জনক ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে শুরু করেছে বিশে^র মুসলিম সম্প্রদায়। ইসলাম বিরোধীরা নানান উপায়ে জনমনে মুসলিম ভীতি ও নেতিবাচক মনোভাব ছড়াতে তৎপর হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, লকডাউন তুলে নিলে ইসলাম বিরোধী সহিংসতার শিকার হতে পারেন মুসলিমরা।
ইসলাম বিদ্বেষী উগ্রপন্থীরা বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর পুরনো ভিডিও ও তথ্যউপাত্ত ব্যবহার করে দাবি করছে যে, মুসলিমরা লকডাউন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে করোনা মহামারী ছড়িয়ে দিচ্ছে। মসজিদগুলি এখনও উন্মুক্ত রয়েছে বলে দাবি করে তারা পুরানো ভিডিও প্রচার করছে। ইতোমধ্যে উগ্রপন্থীদের অনলাইন পোস্টগুলিতে করোনাভাইরাসকে ‘নিরাময়’ করার জন্য সমস্ত মসজিদ ভেঙে ফেলার আহŸান জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির জন্য মুসলিমদের দায়ী করা উগ্রপন্থীদের ফেসবুক, টুইটার, টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রæপগুলির করোনাভাইরাস বিষয়ে সতর্কতামূলক পোস্টগুলি বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, মসজিদ এবং মুসলমানরা করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে, পুলিশ মুসলমানদের প্রতি অগ্রাধিকারমূলক আচরণ করছে এবং যুক্তরাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায় দেশের এক চতুর্থাংশ করোনা সংক্রান্ত মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে দাবি করেছে তারা এবং এই কঠিন সময়ে মুসলিম মহিলারাও জনসমক্ষে বিদ্বেষমূলক অপরাধের শিকার হচ্ছেন।
এন্টি মুসলিম হেটরেড ওয়ার্কিং গ্রæপ-এএমএইচডবøুজি’র স্বতন্ত্র সদস্যদের অনুমোদনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আশঙ্কা করা হয় যে, লকডাউন উঠে গেলে তাদের দাবিগুলি সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। বার্মিংহাম সিটি ইউনিভার্সিটির ক্রিমিনোলজির অধ্যাপক ইমরান আওয়ান বলেছেন, ‘ভাইরাস সংক্রমণের জন্য দোষারোপ করতে ‘অন্যান্য’ মুসলমান সৃষ্টি করার জন্য কোভিড-১৯ সঙ্কটটিকে ব্যবহার করা হয়েছে। এটি অনলাইনে ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে দেয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক একটি প্রবণতাকে উস্কে দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘যদিও আমরা এখনও এটিকে বিদ্বেষমূলক শারীরিক অপরাধে পরিণত হতে দেখিনি, তবে একবার সামাজিক দূরত্বের আইন শিথিল হয়ে গেলে এটি ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে।’
আওয়ান বলেছেন, ‘এই নতুন পরিস্থিতিতে ইসলাম ও মুসলমানরা মহামারীটির কারণগুলির সাথে সরাসরি যুক্ত হয়েছে। মুসলিমদের সমাজের জন্য পরজীবী-বিদেশী, অচ্ছুত এবং রোগ হিসাবে চিত্রিত করে সুপরিচিত সুদূরপ্রসারী থিমগুলির মধ্যে বসিয়ে দেয়া হচ্ছে।’
বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, সামনের সপ্তাহে শুরু হওয়া পবিত্র রমজান মাসে মুসলিমরা আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের সাথে নামাজ এবং খাবারের জন্য জড়ো হলে ইসলাম বিদ্বেষীদের দাবি পুনরায় জোরালো হয়ে উঠবে।
শুক্রবার জাতিসংঘের বিশেষ স্বাধীনতা সম্পর্কিত জারি করা প্রতিবেদনে ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, মহামারী চলাকালীন সময়ে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষম‚লক বক্তব্য উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।