Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

যার যার ধর্ম অনুযায়ী ধর্ম চর্চাটা করা দরকার -সজল

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫২ পিএম

জীবন বরাবরই যুদ্ধ। ঘরের জীবনও যুদ্ধের, বাইরের জীবনও যুদ্ধের। এই পরিস্থিতিতে যার যার জায়গা থেকে সুস্থভাবে বেঁচে আছি এজন্য সবারই আলহামদুলিল্লাহ বলা উচিত। এই মুহূর্তে মাথার উপরে ছাদ, খাবারদাবারের ব্যবস্থা আছে—এটাই বড় পাওয়া। এটা যদি ঠিকঠাকমতো থাকে তবে স্রষ্টার কাছে সবারই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। কথাগুলো বললেন অভিনেতা সজল। তিনি বলেন, গত ১৬ মার্চ থেকে ঘরবন্দি। দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮-১০ ঘণ্টা ঘুমিয়েই কাটে। বাকি সময়টা কীভাবে কাটাবো তার একটা শিডিউল তৈরি করেছি। এতে করে সময়টা খারাপ কাটে না। বিরক্ত না হয়ে নিজেকে ঠিক রাখতে হবে,পরিবারের জন্য কিছু করতে হবে। আমিও সেটাই করছি। বাসার কাজ ভাগ করে নিয়েছি, রান্নাবান্নাও করছি। আসলে আমরা বাঙালি এবং বাঙালি খাবারই খুব তৃপ্তি নিয়ে খাচ্ছি। অনেক আয়েশি খাবার খাচ্ছি তা নয়। লকডাউনের আগেই মা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন—ঘরে খাবার মজুদ করবেন না। খুব সিম্পল খাবারই খাচ্ছি। সজল বলেন, বর্তমান সময়টা কঠিন। সবাই এক প্রকার ভয় পাচ্ছে, আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে সময় পার করছে। কিন্তু এখন বেশি প্রয়োজন সচেতনতা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই। এজন্য ঘরে থাকা প্রয়োজন। আবার সবাই চাইলেও ঘরে বসে থাকতে পারছেন না। চিকিৎসক, প্রশাসনের লোকজন, সংবাদকর্মী, নিত্যপ্রয়োজনী জিনিসপত্রের যারা যোগান দিচ্ছেন, তারা চাইলেও ঘরে থাকতে পারছেন না। তারা সবাই আমাদের জন্য ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। এ অবস্থায় নিজেরা যদি নিজেদের দায়িত্বটা না বুঝি, তাহলে এই অবস্থা কাটিয়ে উঠা সম্ভব না। আমাদের দেশটি অনেক ঘনবসতিপূর্ণ। দেশে অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ আছেন। সচেতন নাহলে এই মানুষগুলোকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না। এই সময়ে সবার সবার পাশে থাকা উচিত। যে যার মতো করে যতটুকু পারেন ততটুকুই করুন। এই সংকট তো সহসাই কাটবে না, এটা আরো দীর্ঘ হবে। এই সময়ে আশেপাশের মানুষদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা গেলেও যথেষ্ঠ। আর এটা দানের পর্যায়ে পড়ে না। নিজের পরিবারের পাঁচজনের দায়িত্ব যদি আমার হয়ে থাকে, তবে দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্বটা তো অন্য কারো নয়। নিজের দেশের মানুষের দায়িত্ব নিজেদেরই নেওয়া উচিত। সজল বলেন, পরিবারের মানুষকে সময় দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, তা আমি নতুন করে উপলদ্ধি করতে পেরেছি। আর প্রকৃতির কাছ থেকে অনেক কিছু না বুঝে নিয়ে বড় হচ্ছি। আলো-বাতাস, পানি এসবের মধ্যেই তো বড় হয়ে উঠছি। কিন্তু আমরা বুঝিও না প্রকৃতির একটা অংশ ভোগ করছি। তার বদলে প্রকৃতিকে কতটুকু দিচ্ছি, সেটা ভাবি না। এই দেওয়া-নেওয়াটা সমান হওয়া উচিত। এই সময়টা হয়তো এমন হতো না, যদি নিজেরা আগে থেকেই সচেতন হতাম। এখনো ভালো মানুষ আছেন বলেই পৃথিবীটা টিকে আছে। প্রকৃতির প্রতি যদি দায়িত্বশীল থাকতাম তাহলে হয়তো এ ধরনের প্রকৃতি দেখতে হতো না। এটা আমার বিশ্বাস। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার কাছেই আবার ফিরে যেতে হবে—এটা ভুলে গেলে চলবে না। যার যার ধর্ম অনুযায়ী ধর্মের চর্চাটা করা দরকার। মনে হয়, সে জায়গা থেকেও আমরা দূরে ছিলাম। এই সময়ে মেডিসিন বলতে কিছু নেই। মেডিসিন একটাই, নিজে সচেতন থাকুন, সাবধানে থাকুন। কেউ বাইরে যাবেন না। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, আপনি আক্রান্ত হওয়া মানে ঘরের আরো পাঁচজন আক্রান্ত হওয়া। নিজে নিরাপদ থাকা মানে. নিজের পরিবারকে নিরাপদে রাখা। আপনার পাশের আরো পাঁচটা পরিবারকে নিরাপদে রাখা। তারা নিরাপদ মানে, একটা এলাকা নিরাপদ। এর চেয়ে বড় কোনো কিছু এখন আর নাই। সাবাই সচেতন হয়ে নিজের যত্ম নিন। এই সময়টা বেশি দীর্ঘ না, এ আঁধার কেটে যাবে। আবার সুন্দর দিন আসবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সজল
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ