Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘আমরা কোনো সময় নষ্ট করি নাই’- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০২০, ৮:৪৬ পিএম

‘আমরা কোনো সময় নষ্ট করি নাই’ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের দেশে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে করোনার কার্যক্রম শুরু করি।                      

রোববার (১৯ এপ্রিল) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এ কথা বলেছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে করোনার কার্যক্রম শুরু করি। আমরা তখন থেকে পিপিই তৈরি করি। ......... সেই পিপিই তৈরি করার জন্য অনুমোদন নিতে হয়েছে ডিজি ড্রাগ থেকে। তারপরে এই কার্যক্রম আমাদের মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল। আমরা কোনো সময় নষ্ট করি নাই। কিটসও আমরা প্রথম পেয়েছি ২৩ ফেব্রুয়ারিতে। তখন থেকেই আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা কোনো সময় নষ্ট করতে দেইনি। যখন প্রথম চীন থেকে লোক আসলো, আশকোনায় রাখলাম, তখন থেকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল আমরা তৈরি করেছি। আমরা কোনো সময় নষ্ট করিনি। ফেব্রুয়ারির শেষেই আমরা দেশের সব হাসপাতালকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি।

জাহিদ মালেক বলেছেন, গত কয়েক দিনে পজিটিভ কেস তিন শর মধ্যে রয়েছে। যদি অতিরিক্ত না বাড়ে, তবে আমরা ভাগ্যবান। আর যদি অনেক বাড়তে থাকে তাহলে এটা আশঙ্কার কারণ। অর্থাৎ, প্রথমত লকডাউন যে হারে আমরা আশা করছি সে হারে কাজ করছে না। দ্বিতীয়ত, লোকজন আক্রান্ত এলাকা থেকে ভালো এলাকায় যাচ্ছেন। নতুন লোক আক্রান্ত হচ্ছে। অর্থাৎ কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বেড়ে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আক্রান্তের সপ্তম সপ্তাহে আছি। যে সপ্তাহে ঠিক এই সময়ে আমেরিকা ও ইউরোপে লাখ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছিল। হাজার হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে। আমরা যদি স্বাস্থ্য নির্দেশিকগুলো না মেনে চলি, আমাদের ফলাফলও ভালো হবে না। তাই অনুরোধ করবো, স্বাস্থ্য বিধিমালা মেনে চলুন। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, আনুমানিক শতকরা ৮০ ভাগ রোগীরা এমনিতেই বিনা চিকিৎসায় সেরে উঠেন। ১৫ শতাংশ রোগীরা হাসপাতালে অবজারভেশনে থাকেন এবং সামান্য কিছু পরিচর্যা লাগে। বাকি পাঁচ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা লাগে। আর কিছু রোগী আইসিইউতে ভেন্টিলেটরে চলে যায় বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, গত শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশেষ একটি জামায়াতে লক্ষ্য করলাম, সেখানে হাজার হাজার লোক জানাজায় শরিক হয়েছে। এই সময়ে এ ধরনের জমায়েত খুবই ক্ষতিকর হয়েছে। আশঙ্কা করছি, অনেক লোক হয়তো বা আক্রান্ত হয়েছে। এ ধরনের দায়িত্বহীন কাজ হওয়া উচিত হয় না। এখানে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা এ ধরনের মনোভাব পোষণ করি।

জাহিদ মালেক বলেন, আমি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জেলার সঙ্গে করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে জানার জন্য কথা বলে থাকি। জানতে পারি, অত্র এলাকায় যত করোনা রোগী পাওয়া গেছে, সবই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে গিয়েছে। এরাই মূলত সারাদেশে করোনা ছড়িয়ে দিয়েছে। এখনো তারা বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্নভাবে লুকিয়ে এ কাজটি করছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন