নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলে শুধু মাত্র বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) বাদে বাকি সব আসরেই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ (বিসিএল) থেকে শুরু করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ এবং পাইওনিয়ার লিগই ফুটবলার তৈরি উপযুক্ত স্থান। কিন্তু এই পর্যায়গুলোতে ফুটবলার তৈরির সীমাবদ্ধতার কথা বলে শেষ করা যাবেনা। খেলার মাঠ নেই। ক্লাব চালানোর অর্থ নেই। পাশাপাশি সময়োপযোগী পরিকল্পনা নেই কারো। তারউপর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) উদাসীনতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও স্বজনপ্রীতির কারণে এই পর্যায়ের লিগগুলোতে বছরের পর বছর চলে ম্যাচ পাতানো খেলা।
ঘরোয়া ফুটবলের এই পর্যায়ের নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলে কোচ আরমান জানান, প্রধান সমস্যাই মাঠ। মাঠ সমস্যার সমাধান, পৃষ্ঠপোষকতা ও সঠিক পরিকল্পনা না থাকলে এই পর্যায়ের ফুটবলের উন্নয়ন সম্ভব নয়। ৪৯ বছর বয়সী ‘সি’ লাইসেন্সধারী কোচ আরমান খেলোয়াড় হিসেবে নিজ ফুটবল ক্যারিয়ার দীর্ঘ করতে পারেননি। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দলে ছিলেন, কিন্তু পরিবারের আপত্তির কারণে আর এগোতে পারেননি। ২০০০ সালে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। সর্বশেষ কাজ করেছেন বিসিএলের দল কারওয়ান বাজার প্রগতী সংঘ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের দল ইস্টার্ন ক্লাব এবং কদমতলায়।
দুই দশকের কোচিং ক্যারিয়ারে বিসিএল, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ এবং পাইওনিয়ার পর্যায়ে সীমাবদ্ধাতা খুব কাছ থেকে দেখেছেন আরমান। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তার বিশ্বাস, মাঠ আর ক্লাবগুলোর আর্থিক সঙ্কট দূর হলে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আরমান বলেন,‘সবচেয়ে বড় সমস্যা ক্লাবগুলোর অনুশীলনের মাঠ নাই। ভালো ফুটবল খেলতে হলে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আজ ধুপখোলা মাঠে, তো কাল পল্টন মাঠে,এভাবে ছুটোছুটি করলে তো আর ভালো ট্রেনিং হয় না।’ তিনি যোগ করেন,‘ফুটবলের জন্য শুধু নয়, সব খেলাতেই অর্থ হলো বড় একটা বিষয়। পেশাদার লিগের ক্লাব বাদে প্রতি মৌসুমে অন্য যে কোন লিগের একটা ক্লাবের প্রায় ২০/৩০ লাখ টাকা খরচ আছে। এটা বহন করতে ক্লাবগুলোর নিজেদের আয়ের উৎস থাকা দরকার। পৃষ্ঠপোষকদের টানতে আরো পেশাদার হওয়া উচিত। কেননা, স্পন্সরদের সেভাবে বোঝাতে না পারলে তারা তো আর সেধে টাকা দিতে আসবে না। অর্থ সমস্যার সমাধান হলেই চলবে না। ভালো ফুটবলের জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা। যা আমাদের কোনো লেভেলেই নাই। পকিল্পনা নিয়ে এগিয়ে গেলে অবশ্যই ফুটবলের উন্নয়ন হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।