যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
বাসাবাড়ি কিংবা বাইরে যেখানেই বলুন না কেন বর্তমানে পিছু তাড়া করছে করোনাভাইরাস নামের অদৃশ্য শক্তি। সর্বত্রই রয়েছে এই ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক। এমন পরিস্থিতিতে নিজের আর পরিবারের সবার সুস্থতায় শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। জেনে নিন গ্রীষ্ণের শুরুতে কি কি খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশি কার্যকর।
লেবু : লেবুতেই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকে। তাই এই লকডাউনের সময় অবশ্যই লেবু খাবেন। ঘুম থেকে ওঠার পর হালকা গরম পানিতে লেবু চিপে ও চায়ের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কমলা বা মুসাম্বি লেবু রাখতে ভুলবেন না। লেবু আমাদের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
কাঁচা হলুদ : তবে লকডাউনে কাঁচা বাজার বিকাল ৫টার মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। আর ভ্যানগাড়িতে ঘুরে সবজি-ফল বিক্রি অনেকটা কমে গেছে। তাছাড়া লকডাউনের কারনে সব সময় তাজা লেবুর দেখা মিলবে না। খেতে পারেন পেয়ারা, পেঁপে, কলা, কিউয়িও। এসব ফলও বাজারে পাওয়া না গেলে ভরসা রাখুন আদা আর হলুদের উপর।
হলুদ, বিশেষ করে কাঁচা হলুদ ‘কারকিউমিন’ নামক একটি যৌগের গুণে সমৃদ্ধ। এটি নানা ধরনের প্রদাহ কমায়। অনেক রকমের ক্রনিক ব্যথাও সারায়। তাই সাধারণ গলা ব্যথা বা কাশি হলে আগে আদা, গোলমরিচ, হলুদ আর মধু এক সঙ্গে ভাল করে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে খেতে পারেন। আদা তো হজমের জন্য খুবই উপকারি ও নানা ধরনের প্রদাহও কমায়।
রসুন : প্রতিদিনের রান্নায় এখন রসুনের ব্যবহার করুন। রসুন নানা রকমের সংক্রমণ খুব ভাল ভাবে রুখতে পারে।
গ্রিন টি : খেতে পারেন গ্রিন টি। আর ঘরে যদি আমন্ড বাদাম রাখা থাকে, তা হলে খুব ভাল। আমন্ডও অনেক দিন সংগ্রহ করে রাখা যায় এবং তার থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন ‘ই’। শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী রাখতে যার জুড়ি মেলা ভার। সূত্র : ইনকুইরার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।