মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হোয়াইট হাউসে প্রতিদিনের করোনাভাইরাস ব্রিফিংয়ে সোমবার ট্রাম্প বলেন, আমেরিকায় ব্যবসা বাণিজ্য খুলে দিয়ে অর্থনীতিকে আবার সচল করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে তার প্রশাসন। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ব্যবসা বাণিজ্য প্রধানত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, দেশে লকডাউন তুলে নেওয়ার ব্যাপারে তার একক কর্তৃত্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্যের গভর্নর ও আইন বিশেষজ্ঞদের তিনি উপেক্ষা করতে পারেন। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তিনি। এ সময় সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে তার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে রাজ্য সরকারগুলোর সঙ্গেও বিবাদে বিবাদে জড়িয়েছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে বলা আছে, আইন-শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব অঙ্গরাজ্যগুলোর। তবে ট্রাম্পের এক কথা, ‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’ দেশটির পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলীয় ১০টি রাজ্য ঘরের ভেতর থাকার কঠোর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ইঙ্গিত দিয়েছে বিধিনিষেধ শিথিল করার সম্ভাব্য তারিখ আগামী ১ মে। হোয়াইট হাউসের বর্তমান নির্দেশ অনুযায়ী রেস্তোঁরায় যাওয়া বন্ধ রাখা, অপরিহার্য কারণ ছাড়া বাইরে না বের হওয়া এবং একসঙ্গে ১০ জনের বেশি জমায়েত না হবার যে বিধান এখন চালু আছে তার মেয়াদ ৩০শে এপ্রিল শেষ হচ্ছে।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের প্রশাসন আলাদা আলাদাভাবে ঘরের ভেতর থাকার যে নির্দেশ জারি করেছে, তা অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের আছে কিনা? উত্তরে ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের একক কর্তৃত্ব রয়েছে। তার ক্ষমতাই চূড়ান্ত। গর্ভনররা সেটা জানেন। তারপরও হোয়াইট হাউস রাজ্যগুলোর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে।
বিবিসির সাংবাদিক জন সোপেল ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফা প্রাদুর্ভার শুরু হলে অর্থনীতি আবার বন্ধ ঘোষণার আশঙ্কা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন কিনা। উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘সে হিসাব আমার মাথায় আছে।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, তার দেশে করোনায় মৃত্যুহার স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছাতে শুরু করেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার সুবাদে সাফল্য আসতে শুরু করেছে।
ব্রিফিংয়ে হোয়াইট হাউস একটি সংকলিত ভিডিও পরিবেশন করা হয়। এতে মিডিয়ার রিপোর্টিং-এর ব্যাপক সমালোচনা করা হয়। এই মহামারি মোকাবিলায় ট্রাম্পের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। বিভিন্ন রাজ্যের গভর্নরদের মুখে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রশংসাবাণী শোনানো হয়।
বিভিন্ন রাজ্যের গভর্নররা বলছেন, তাদের রাজ্যে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সেগুলো কখন তুলে নেয়া হবে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।