মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহামারী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরোবিশ্ব। এরইমধ্যে করোনা মোকাবিলায় আগামী দুই সপ্তাহের জন্য ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে সউদী জোট। খবর'র এসপিএ। গতকাল বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
এই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সউদী জোটের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল মালকি। তিনি জানান, জাতিসংঘ যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানোর এক দিনের মাথায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সউদী জোট। সউদী জোটের প্রস্তাবে সব ধরনের বিমান, স্থল ও নৌ হামলা স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে সউদী জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘ দূতের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে, ইয়েমেনি জনগণের দুর্ভোগ কমাতে, করোনার বিস্তার ঠেকাতে সউদী জোট দুই সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করছে।
তবে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এ নির্দেশ মেনে চলবে কিনা এই নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পশ্চিমা সামরিক সহায়তায় ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে সউদী জোট।
ইয়েমেন যুদ্ধে সউদী আরব ও তার মিত্ররা একতরফা যুদ্ধবিরতি পালন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। বুধবারের এই ঘোষণা পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কার্যকর করা হবে।
এতে গত পাঁচ বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধের অবসানের পথ তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে এমন তথ্য মিলেছে।
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা শুরু করতে ও ইয়েমেনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক থেকেই এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেন সউদী কর্মকর্তারা।
আরব বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ইয়েমেনের স্বাস্থ্যব্যবস্থাও খুব নাজুক। গত কয়েক বছরের যুদ্ধে তা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
এদিকে সউদী রাজ পরিবারের অন্তত দেড়শ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রাজপরিবারের ঘনিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিয়াদের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন বান্দর বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি এখন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন। রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ দুজন সদস্য এই তথ্য জানিয়েছেন।
সৌদি রাজ পরিবারের বেশ কয়েকজন প্রিন্স সম্প্রতি যারা ইউরোপ ভ্রমণ করেছেন তারাও আক্রান্তের তালিকায় আছেন। রাজ পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য অসুস্থতাবোধ করছেন।
সউদী বাদশাহ সালমান রাজপরিবার ছেড়ে জেদ্দায় একটি ভবনে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছেন। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ এবং মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য রাজপরিবার ছেড়ে দূরবর্তী এলাকায় অবস্থান করছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
দেশটির প্রসিদ্ধ হাসপাতালগুলোর বিখ্যাত সব চিকিৎসক যারা সউদী রাজ পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তারা ৫০০ বেডের একটি হাসপাতাল তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেখানে রাজপরিবার ও তাদের ঘনিষ্টদের মধ্যে যারা করোনা সন্দেহভাজন তাদের চিকিৎসা দেয়া হবে।
২ মার্চ সউদীতে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ৬ সপ্তাহে দেশটিতে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। আর ২৭৯৫ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।