পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার দক্ষিণখানের প্রেমবাগান এলাকার একই পরিবারের স্ত্রী ও দুই সন্তান হত্যা মামলা মূল আসামি রকিব উদ্দিন আহমেদ ওরফে লিটনকে (৪৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সদর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, অনলাইনে জুয়ার সর্বস্ব হারিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে খুন করেছে রকিব।
ডিএমপির গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের বিমানবন্দর জোনাল টিমের ইনচার্জ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. কায়সার রিজভী কোরায়েশী জানান, গ্রেফতারের পর রকিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় ট্রিপল মার্ডার সম্পর্কে রকিব জানায়, তিনি নিজেই তার স্ত্রী, তার ছেলে ও মেয়েকে হত্যা করে পাগলের বেশ ধারণ করে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে ছিল।
তিনি জানান, রকিব অফিসের কলিগসহ অন্যান্য ব্যক্তির নিকট থেকে প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা সুদের উপর বিভিন্ন সময়ে ধার নিয়েছিল। অন লাইনে জুয়া খেলে তিনি সব টাকা নষ্ট করে। এদিকে পাওনাদাররা তাদের পাওনা টাকা আদায়ে চাপ দিতে থাকে। এ কারনে তিনি বাসায় স্ত্রী-সস্তানদের সাথে খারাপ আচরন করতো এবং গত ডিসেম্বরে কিছু দিন আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। আর এর জের ধরেই স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যা করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে স্ত্রীকে হাতুড়ী দিয়ে এবং গলা চেপে হত্যা করে। পরে মেয়ে ও ছেলেকে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস আটকিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে বিকাল চারটার দিকে লিটন বাসায় তালা দিয়ে বের হয়ে রেল লাইনে যায়। ট্রেনের নীচে পড়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে কিন্তু তিনি আত্মহত্যা করতে না পেরে বিভিন্ন জায়গায় পাগলের মত ছদ্মবেশ ধারণ করে ঘুরতে থাকে।
উল্লেখ্য, রকিব স্ত্রী মুন্নী (৩৭), ছেলে ফারহান (১২) ও মেয়ে লাইবাকে (৩) নিয়ে দক্ষিণ প্রেমবাগান এলাকার মো. মনোয়ার হোসেনের বাড়ির ৪র্থ তলার দক্ষিণ পাশের ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।