Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

করোনায় উদ্বেগ ও বিষন্নতা কাটাতে করণীয়

টেক এক্সপ্লোর | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনা মহামারী মানুষকে বিভ্রান্ত ও অনিশ্চিত করে তুলেছে এবং হতাশায় নিমজ্জিত করতে শুরু করেছে। যার ফলস্বরূপ মানুষ আরও ক্লান্ত এবং উদ্বেগ বোধ করছে। প্রচুর লোক সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন যে, তারা লকডাউনে থাকাকালীন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্লান্ত বোধ করছেন।
তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্লান্তির যে অনুভূতি আপনি অনুভব করছেন তা শারীরিক দুর্বলতার চেয়ে করোনাভাইরাসের সাথে সম্পর্কিত মানসিক চাপের কারণে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে বিভিন্ন উপায়ে এই ক্লাস্তি বা অবসাদ থেকে উত্তোরণ সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনা পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়ার প্রথম সপ্তাহে আগের জীবনযাত্রা এবং কাজের পদ্ধতিকে মাথা থেকে সরিয়ে রাখতে হবে এবং সবকিছুর মধ্যে নতুনভাবে সমন্বয় সাধন করতে হবে। আপনার অনুভূতি এবং ভাবনাগুলি কোথাও সুনির্দিষ্টভাবে লিখে রাখলে, নিজের অগ্রগতির চিত্রটি পাওয়া আপনার জন্য সহজ হয়ে উঠবে এবং কীভাবে সবকিছুর সাথে সামঞ্জস্য করবেন তা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
লকডাউনের প্রথম কয়েক সপ্তাহ বিষন্নতা অনুভ‚ত হতে পারে। এটি একটি সাধারণ বিষয়। দয়া করে খুব বেশি চিন্তা করবেন না। তবে নিজেকে আশ্বস্ত করুন যে, বেশিরভাগ মানুষকেই এই অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে এবং পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে আপনি আরো ভাল বোধ করবেন। নতুন জীবন পদ্ধতির সাথে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে খাপ খাওয়াতে প্রায় ৩ মাস লেগে যেতে পারে।
যাহোক, লকডাউন জীবনের শুরুর প্রায় ৩ সপ্তাহ পর হঠাৎ করে যে কেউ অস্বস্তিতে ডুবে যেতে পারেন এবং মনোবল হ্রাস পেতে পারে। তবে একবার এই পর্যায়টি পার হয়ে গেলে হতাশার এই অনুভূতিগুলি ফিরে আসার সম্ভাবনা কম।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিকে থাকার পাঠটি মানুষের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ থেকে আসে। উদাসীনতা এবং মানসিক চাপ ও বিষন্নতা এড়াতে আপনার জন্য প্রতিদিন একটি সুস্পষ্ট রুটিন অনুসরণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
রুটিন করা জীবন কাঠামো আমাদের বহুকিছু ইতিবাচক অর্জনের সুযোগ করে দেয়। এটি আপনার বেকার সময়ে একটি ব্যস্ততার প্রবাহ নিয়ে আসে এবং আপনাকে সচেতন রাখে।
এটি মানুষের হতাশা এবং উদাসীনতা, ঘুমরে সমস্যা এবং তাদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা রোধ করতে পারে। লকডাউন চলাকালীন অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগের জন্য সময় দেয়া ভাল। সেইসাথে, শরীর ও মন ভাল রাখতে শারীরিক অনুশীলনও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
অনলাইন ব্যায়ামের ক্লাস আপনাকে শারীরিকভাবে ক্লান্ত বোধ করাতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি আপনার ঘুমের মানের উন্নতি করে অবসাদের অনুভূতি কমিয়ে দেবে। তবে, পরিস্থিতি সামাল দিতে সবার আগে পরিকল্পনা এবং লক্ষ্য নির্ধারণ দু’টোই খুব জরুরি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ