Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনায় সবজি বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীরা নেই, ভোক্তা ও চাষি লাভবান, ঢাকায় যাওয়া সবজির ট্রাকের ভাড়া অস্বাভাবিক

মিজানুর রহমান তোতা | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০২০, ২:৫৭ পিএম

দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগই সবজির যোগান হয় ‘ভেজিটেবল জোন’ যশোর থেকে। এখানকার পাইকারী বাজারে বরাবরই মধ্যস্বত্বভোগী মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের দাপট চলে অতিমাত্রায়। করোনাভাইরাসের ধাক্কায় তারা উধাও হয়ে গেছে। সবজি বাজারে ফিরে এসেছে স্বস্তি। উৎপাদক চাষি ও ভোক্তারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। গতকাল যশোরের বারীনগর ও খাজুরার সবজির পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে এই তথ্য জানা গেছে। বারীনগরের সবজি চাষি আরমান আলী বললেন, করোনার বিপদে আছি ঠিকই কিন্তু এর মধ্যে একটা স্বস্তি আছে যে ভালো মূল্য পাচ্ছি, মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেটের লোকজন বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০ থেকে ৩০টাকা কেজি দরে প্রায় সবজি পাওয়া যাচ্ছে। ভোক্তা ব্যাংকার ওয়ালিউল হাসনাত রকি ও আবুল কালাম আজাদ বললেন, বাজারে সবজির ভালো আমদানী আছে, মূল্যও নাগালের মধ্যে। তবে নতুন সবজি সজনের ডাটার মূল্য একটু চড়া।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত কয়েকদিনের বাজার কোনরূপ অস্থিরতা নেই। সবজির মূল্য সাধারণত এই সময়ে অনেক বেশী হয়ে থাকে, কারণ মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপট। মাঠে মাঠে সবজির উৎপাদনও ভালো হয়েছে। একথা বললে কৃষি সম্প্রসারণের কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান।

কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের বাজার কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান জানান, সবজির বাজারে বুধবারের রিপোর্ট হচ্ছে, বেগুন ২৫টাকা, লাউ মাঝারি ২০টাকা, টমেটো ১৫টাকা, আলু ২০টাকা, ঢেড়স ২০টাকা, লাল শাক ১৫টাকা, ক্ষিরা ২৫টাকা, এচ্ছ ৩০টাকা, বরবটি ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তারও কথা সবজির পাইকারী বাজারে মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেটের দাপট নেই। তবে ঢাকায় সবজির ট্রাকের ভাড়া ১৭হাজার থেকে ২৫/২৬হাজার টাকায় বৃদ্ধি হয়েছে। এ বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

দৈনিক ইনকিলাব বহুদিন থেকেই বিভিন্ন সময় রিপোর্ট করে সবজির উৎপাদক চাষি ও ভোক্তাদের স্বার্থে মাঠের মূল্য ও বাজার মূল্যের বিরাট ফারাকের বিয়টি তুলে ধরে আসছে। আসলে পাইকারী বাজারের দিকে দৃষ্টি দিলে সারাদেশের একটা বড় অংশের ভোক্তা তুলনামুলকভাবে কম মূল্যে সবজি ক্রয় করতে পারতেন। উপযুক্ত মূল্য পেতেন সবজি চাষীরাও। কিন্তু বরাবরই এই বিষয়টি অনুপস্থিত রয়েছে। যশোরে শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন মৌসুমের পার্থক্য নেই। বারোমাসই রকমারী সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ