রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
এবারের বন্যায় সবজি ও বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়েছে। ফলে বাজারে সবজিসহ নিত্যপন্যের দাম বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলেছিল। বন্যা পরিস্থিতি উন্নত হলেও কুমিল্লার বাজারগুলোতে সবধরণের সবজির দাম হু হু করে বেড়েই চলছে। এবারে সবজি দাম এতোটাই বেশি যে, ক্রয়ক্ষমতায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। সবজির এ দাম বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ ক্রেতাদের। সরবরাহ কম, আড়তে দাম বেশি এমনসব অজুহাত দেখিয়ে গত দুই মাস ধরে সবজির দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করে তুলেছে বিক্রেতারা।
কোন কারণ ছাড়াই কুমিল্লার বাজারগুলোতে গত দুই মাস ধরে সবধরণের সবজি বেশি দরে বিক্রি করছেন দোকানিরা। কুমিল্লা নগরীর বাজারগুলোতে ইতোমধ্যে শীতকালীন সবজির কিছু আইটেম বাজারে এসেছে। কিন্তু দাম বেশি। নগরীর রাজগঞ্জ, চকবাজার, নিউমার্কেট, বাদশা মিয়ার বাজার, রানীরবাজার, টমছমব্রিজ-রামমালা রোডের বাজার, মগবাড়ি মোড়ের বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতিকেজি টমেটো ১০০ টাকা, শীম ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঢেঁড়শ ৯০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, পটোল ৭০ টাকা, কচুমুখি ৬০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, কইডা ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৭০-১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দুই মাস আগেও এসব সবজির দাম বর্তমান দরের অর্ধেক ছিল।
কুমিল্লায় সবজির সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার নিমসারের কয়েকজন আড়তদার ও রাজগঞ্জ বাজারের আড়তদাররা জানান, এবারে গত দুই মাস ধরে সবজির দাম অন্যান্য বছরের তুলানায় দ্বিগুন বেড়েছে এটা সত্যি। তার কারণ হিসেবে আড়তদাররা জানান, দেশের যেসব স্থানে বেশি সবজি উৎপাদন হয় সেখানে এবারে বন্যা হয়েছে। তাই সবজির ফলন কম হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, কুমিল্লা অঞ্চলের উৎপাদিত সবজি বাজারে ভরপুর হলে দাম আস্তে আস্তে কমে আসবে।
এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, আড়তদার ও দোকানিরা মিলে সিন্ডিকেট করেই সবজির দাম বাড়িয়েছে। সবজির সরবরাহ কম আড়তদারদের এমন যুক্তি সঠিক না। কুমিল্লা অঞ্চলে সবসময় সবজির ব্যাপক ফলন হয়ে থাকে। কুমিল্লায় উৎপাদিত সবজিই দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে, চাহিদা মেটাচ্ছে। আর কুমিল্লার মানুষ বেশি দামে সবজি কিনছে। সবজি বাজার এখন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের কাছে আতঙ্ক ও অস্থিরতার জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতির লাগাম প্রশাসনের কঠোরভাবে টেনে ধরা উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।