মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী থিওডর রুজভেল্টে ছড়িয়ে পড়েছে নভেল করোনাভাইরাস। আবেগঘন এক চিঠিতে রণতরীতে থাকা চার হাজারের বেশি ক্রুকে ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচানোর আর্জি জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন।
রুজভেল্টের ক্রুদের বেশ কয়েকজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার প্রথম সংবাদ প্রকাশ করে সানফ্রান্সিসকো ক্রনিকাল নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকা। তবে রণতরীতে থাকা ঠিক কতজন নাবিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তা সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। খবর বিবিসির
প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপ গুয়ামে নোঙর করে রাখা হয়েছে রণতরীটি। এ দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এক সপ্তাহ আগে নাবিকদের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে গুয়ামে নোঙর করে আছে রণতরীটি।
রণতরীর ক্যাপ্টেন ব্রেট ক্রোজিয়ের যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের কাছে চার পৃষ্ঠার একটি চিঠি পাঠিয়েছেন নাবিকদের উদ্ধারের আর্জি জানিয়ে।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আমরা এখন কোনো যুদ্ধে নেই। নাবিকরা মরতে চান না। এখনই যদি নাবিকদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে সব নাবিককে আইসোলেশনে (অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন) থাকার বিকল্প নেই।
আক্রান্তদের দ্রুত আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে না পারলে নাবিকদের সবাই সংক্রমিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্যাপ্টেন। তিনি ৩০ মার্চ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খুব শিগগির থিওরি রুজভেল্টের নাবিকদের সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্বব্যাপী মার্কিন সামরিক আধিপত্যের প্রতিচ্ছবি দেশটির সুবিশাল বিমানবাহী রণতরীগুলো। আকারে একটি ছোটখাট শহরের সমান এসব জাহাজ পৃথিবীর যে কোনা প্রান্তে যে কোনো সময় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা করার সক্ষমতা বজায় রাখে।
তবে সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের এই স্তম্ভেও হানা দিয়েছে বিশ্ব মহামারির উৎস করোনা ভাইরাস। ইউএসএস থিওডর রুজভেল্ট নামক বিমানবাহী রণতরীটিতে এখন আক্রান্ত নাবিকদের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে উন্নীত হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার প্রথম মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন; রুজভেল্টে কর্তব্যরত তিন নাবিকের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ার কথা জানায়। এরপরের দুই দিনে বাড়তেই থাকে এই সংক্রমণ।
মার্কিন নৌবাহিনী অবশ্য কোভিড-১৯ আক্রান্ত নাবিকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে। খবর সিএনএনের। নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, রুজভেল্টে আরও কয়েক ডজন নাবিক আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা জাতীয় নিরাপত্তার বিবেচনায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশ নাও করতে পারে। উল্লেখ্য থিওডর রুজভেল্টে বর্তমানে ৫ হাজার নাবিক, নৌসেনা ও যুদ্ধবিমান চালক অবস্থান করছেন।
মুডলি জানান, রুজভেল্টকে প্রশান্ত মহাসাগরের মার্কিন সামরিক ঘাটি গুয়াম দ্বীপের বন্দরে অবস্থান নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে জাহাজের কোনো নাবিক গুয়ামে নামতে পারবেন না।
দুই সপ্তাহ আগে রুজভেল্ট ভিয়েতনামে ভিড়েছিল। সেখান থেকেই জাহাজটির নাবিকদের দেহে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। জাহাজের সকল নাবিককে ধীরে ধীরে পরিবহন বিমানে করে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।