মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতজুড়ে তিন সপ্তাহের লকডাউন শুরু হওয়ার পর রাজধানী দিল্লি থেকে হেঁটে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি, কিন্তু ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে মধ্যপ্রদেশের বাড়িতে পৌঁছানোর আগে পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যক্তির নাম রানবীর সিং, তিনি দিল্লিতে ডেলিভারি এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২১ দিন ব্যাপী লকডাউন ঘোষণার পর থেকে ভারতজুড়ে লাখ লাখ দিনমজুর কর্মহীন হয়ে পড়েছে। দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা এসব লোক টাকার অভাবে খাবারও কিনতে পারছেন না, হারিয়েছেন আশ্রয়; ফলে গ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তারা। দিল্লি থেকে বাড়ির পথে রওনা হওয়া এমন কয়েক হাজার লোকের একজন ছিলেন রানবীর। সব গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কয়েকশ কিলোমিটার দূরে বাড়ির পথে হেঁটেই রওনা হয়েছিলেন তিনি। রানবীবের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলায়। দিল্লি থেকে তার গ্রামের বাড়ির দ‚রত্ব প্রায় ৩২৬ কিলোমিটার। দিল্লি থেকে মহাসড়ক ধরে উত্তর প্রদেশের আগ্রা পর্যন্ত প্রায় ২৩৭ কিলোমিটার যাওয়ার পর কাহিল হয়ে পড়েন তিনি। অপর দিকে, দেশজুড়ে তিন সপ্তাহের লকডাউনে শহরগুলোতে আটকে পড়া হাজার হাজার দিনমজুর বেপরোয়া হয়ে নিজ নিজ গ্রামে ফেরার চেষ্টায় সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ‘কঠোর সিদ্ধান্তের’ জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। “আমার গ্রহণ করা কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের মধ্যে অসুবিধার কারণ হওয়ায় আমি জাতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু আপনাদের সুরক্ষার নিশ্চিত করার জন্যই আমাকে এ পদক্ষেপগুলো নিতে হয়েছে,” রোববার স্থানীয় সময় সকালে মাসিক রেডিও বক্তৃতা ‘মন কি বাত’ এ মোদি এমনটি বলেছেন বলে উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে এনডিটিভি। গত সোমবার মোদি বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ভারতজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন। তারপর থেকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ভারতে সব ধরনের গণপরিবহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান, জিম, সুইমিংপুল বন্ধ আছে। তিন সপ্তাহের এ লকডাউন চলাকালে দেশের নাগরিকদের বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। লকাডাউন শুরু হওয়ার পর দেশটির বড় শহরগুলোতে হাজার হাজার দিনমজুর বেকার হয়ে পড়েছে। আশপাশের গ্রামগুলো থেকে কাজের খোঁজে শহরে যাওয়া এসব লোক অর্থের অভাবে আশ্রয় হারিয়েছে, খাবার কেনার টাকাও তাদের কাছে নেই। রাজ্য সরকারগুলো এ ধরনের লোকজনের জন্য খাবার সরবাহের ঘোষণা দিলেও সামাজিক রান্নাঘর ও বিতরণ নেটওয়ার্ক এখনও প্রস্তুত হওয়ার পথে রয়েছে। পরিস্থিতির চাপে আতঙ্কিত ওই মজুররা গণপরিবহনের অনুপস্থিতিতে পায়ে হেঁটেই দূরবর্তী গ্রাম বা ছোট শহরগুলোতে থাকা তাদের বাড়ির পথে রওনা হন। এনডিটিভি, টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।