পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নানা উদ্যোগ নিয়ে মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। কখনো মাইক হাতে নিয়ে জনগণকে সচেতন করার জন্য নানা রকম পরামর্শ দিচ্ছেন। কখনো আবার বিদেশে ফেরতদের খোঁয়াড়ে (হোম কোয়ারেন্টাইনে) নিতে কাজ করছেন। কর্পোরেশনের কর্মীদের নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজও করছেন মেয়র।
এবারের সিটি নির্বাচনে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েও নগরবাসীর সুরক্ষায় তার এ প্রচেষ্টা সবার নজর কাড়ছে। অথচ ৫৫ জন কাউন্সিলরের কাউকেই এমন দুর্যোগে কাছে পাচ্ছে না সত্তর লাখ নগরবাসী। গতকাল শনিবার পর্যন্ত নগরীর কোথাও তাদের কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি।
বর্তমান কাউন্সিলদের মধ্যে অনেকেই এবারের নির্বাচনেও দলীয় সমর্থন পেয়েছেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ভোট ভোট খেলা আয়োজনে কিছু দিন আগেও তারা মাঠে ছিলেন সক্রিয়। নগরবাসীর সেবা করার সুযোগ চেয়ে গলা ফাটিয়েছেন। কিন্তু সেবা করার সময়ে তাদের খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না।
সিটি মেয়র পদে নৌকা তথা আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া এম রেজাউল করিম চৌধুরীও নীরব। করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে নগরবাসীর পাশে নেই তিনি। বিএনপির ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ভোট স্থগিত হওয়ার পরেও কিছু দিন মাঠে ছিলেন। নগরীর কয়েকটি এলাকায় ঘুরেফিরে কিছু সুরক্ষা সরঞ্জাম বিতরণ করেন। এখন তিনি এবং তার দলের কাউন্সিল প্রার্থীরা কেউ জনগণের পাশে নেই।
বড় দুটি দলের দুই জনসহ চসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী আছেন সাত জন। বাকি পাঁচ জনও মাঠে নেই। কদিন আগেও মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকার কথা বলেছেন তারা। নগরীর ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিল প্রার্থী আছেন ১৬১ জন। প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী আছেন। ভোটের মাঠে ছিলেন তারাও। ভোটারদের কাছে গিয়ে সমর্থন চেয়েছেন। তাদের পাশে থাকবেন বলেও অঙ্গীকার করেছেন।
সরকারি দলের কাউন্সিল প্রার্থী ও বিদ্রোহীরা নিজেদের মধ্যে মারামারিও করেছেন। নিজেদের মধ্যে সংঘাত, সহিংসতায় লাশ পড়েছে, রক্ত ঝরেছে। তারাও এখন মানুষের পাশে নেই। ১৪টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রার্থী আছেন ৬১ জন। তারাও নগরবাসীর পাশে নেই করোনা দুর্যোগে। ভোটারদের প্রশ্ন এসব প্রার্থীরা কি তাহলে হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছেন।
নগরী ও নগরীর আশপাশের পাঁচটি আসন থেকে নির্বাচিত সরকার দলীয় সংসদ সদস্যদের নীরবতা নিয়েও সমালোচনা সবার মুখে মুখে। কঠিন এ সময়ে তারাও জনগণের কাছ থেকে অনেক দূরে। তবে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নগরবাসীর সুরক্ষায় যা করছেন তাতে তারা খুশি।
ইতিমধ্যে তিনি দরিদ্র মানুষের জন্য খাবার সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
তাদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছাতে কাজ শুরু হচ্ছে। করপোরেশনের উদ্যোগ করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার ভার নেওয়া হয়েছে। সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা হেঁটে জীবাণুনাশক ছিটানো কিংবা হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে গাড়িতে বসে নগরীর মোড়ে মোড়ে মেয়রের মাইকিং করার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক প্রসংশায় ভাসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।