পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি জাতিরই মহান নেতা ছিলেন না, সারা বিশ্বের শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু সবসময় শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। তাঁর দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ফলে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পায়।
গতকাল বুধবার স্বাধীনতার ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে মন্ত্রণালয় তার অফিসকক্ষে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে শিজুওকা-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এসোসিয়েশন, জাপান আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপ-মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হিমালয় সমান মহান, ব্যক্তিত্বে আকাশছোঁয়া উচ্চতা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোসহীন, সাহসী, বজ্রকন্ঠের অবিসংবাদিত এই নেতাকে জর্জ ওয়াশিংটন-মহাত্মা গান্ধীর চেয়ে উঁচু আসনে স্থান দিয়েছেন কেউ কেউ। তার মৃত্যুতে সৃষ্ট শূণ্যস্থান, বিশ্বনেতাদের অনেকের কাছেই ছিলো অপূরণীয়। শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুর তুলনা বঙ্গবন্ধু নিজেই। তিনি তাঁর ভাষণেই বলেছিলেন, আজ সমগ্র বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষিত-বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষ অন্যদিকে শোষণকারী। আমি শোষিত-বঞ্চিত মানুষের পক্ষে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আজ উনড়বয়নের মহাসড়কে। এর পিছনে রয়েছে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, দেশপ্রেম এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব। পিতার পরে সন্তানের হাতে দেশ, একই যতেড়ব লালিত এবং পালিত হচ্ছে। এখন দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উনড়বয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
উপমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে জাপান বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলো। যে কয়েকটি দেশ এসে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের পাশে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল জাপান। বাংলাদেশকে সবার আগে স্বীকৃতি দেয়া দেশগুলোর একটি জাপান। ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় দেশটি। এর পরদিনই দুই দেশ একে অন্যের রাজধানীতে দূতাবাস স্থাপন করে। স্বাধীনতার ঠিক পরপরই বাংলাদেশের পুনর্গঠন প্রμিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সহযোগিতাও করেছিল। প্রয়োজনের মুহূর্তে সে সহায়তা বাংলাদেশের পুনর্গঠনকে অনেকখানি এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রাখে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেও বাংলাদেশীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল জাপানি জনগণ। জাপান সবসময়ই বাংলাদেশের বন্ধু হয়েই থাকবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ, জাপানের শিজুওকা সিটি মেয়র নবুহিরো তানাবি, শিজুওকা-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আমানো হাজিমি, নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ আহমেদ, উপদেষ্টা ড. শাহরিয়ার এম শামস সামি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।