মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিগুলি নিশ্চিত করে জানিয়েছে কাবুলের গুরুদ্বার হামলায় চার সন্ত্রাসবাদীর মধ্যে যে সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে এবং যাকে ইসলামিক স্টেট অফ খোরাসান প্রভিন্স ভারতীয় নাগরিক আবু খালিদ আল হিন্দি বলে চিহ্নিত করেছিল, সে ভারতীয়ই। কেরালার বাসিন্দা আবু খালিদ আল হিন্দি প্রায় ৬ বছর আগে দেশ ছেড়ে চলে যায়।
ইসলামিক স্টেটের বক্তব্য অনুযায়ী আল হিন্দি ২৫ মার্চ গুরুদ্বারে হামলা চালায় কাশ্মীরে মুসলিমদের উপর হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ স্বরূপ। কাউন্টার টেরর অপারেটিভদের দাবি আল হিন্দির আসল নাম মহসিন ত্রিকারিপুর ওরফে মহম্মদ মুহাসিন নানগরাথ আব্দুল্লা (ইউএই-তে বানানো তার হেলথ কার্ড অনুযায়ী)। ১৯৯১ সালের ১৯ মার্চ কেরালার কাসারগোদেতে জন্ম তার। কাসারগোদের ত্রিকারিপুরে মহসিনের পরিবারের একটি আসবাবের দোকান আছে। ২০০৭ সালে কেরালা ছেড়ে সে বেঙ্গালুরু চলে আসে। সেখান থেকে মালয়েশিয়া হয়ে পাড়ি দেয় দুবাইয়ে।
কেরলের কান্নুর জেলার চেক্কিকুলাম এলাকার বাসিন্দা এই জঙ্গির উপর ২০১৭ সাল থেকে নজর ছিল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি তথা এনআইএর-র। এর আগেও একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপে নাম জড়িয়েছিল এই আবু খালিদের।
আইএস-এর মুখপত্রে ইতিমধ্যেই এই আবু খালিদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে জঙ্গির হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক রাইফেল। সামনেও সাজানো রয়েছে একগাদা অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। শুধু ছবি প্রকাশই নয়, আইএস-এর তরফে জঙ্গির নাম-পরিচয় দিয়ে এটাও জানানো হয়েছে যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমদের প্রতি হওয়া নির্যাতনের বদলা নিতেই কাবুলের ওই গুরুদ্বারে হামলা চালিয়েছে সে। তবে এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর কেরালার পুলিশের একাংশ দাবি করেছে এই যুবকের নাম মহম্মদ মহসিন। বয়স ২১ বছরের আশেপাশে। গত বছর আফগানিস্থানে হওয়া ড্রোন হামলায় এই মুহসিনের মৃত্যু হয়েছে বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী গত বছর ১৮ জুন মারা গিয়েছিল পেশায় ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ মহসিন। কেরল পুলিশের একটি সূত্রের দাবি কাসারগোদ জেলার থ্রিক্কাপুরির বাসিন্দা ছিল এই মহসিন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার কাবুলের গুরুদ্বার হর রাই সাহিবে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে তিন আইএস জঙ্গি। হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৫ জনের। ৮০ জনকে পণবন্দি বানিয়েছিল জঙ্গিরা। তবে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। মুক্তি পান পণবন্দিরা। অন্যান্য দিনের মতোই এদিন সকালেও গুরুদ্বারে প্রার্থনা করতে এসেছিলেন সাধারণ শিখরা। আচমকাই জঙ্গি হামলা হয় সেখানে। পরে দায় স্বীকার করা ইসলামিক স্টেট তথা জঙ্গি সংগঠন আইএস। সূত্র: টিওআই, দ্য ওয়াল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।