বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নগর ও শহরতলি সহ গ্রামের পাড়া মহল্লায় মসজিদগুলোতে শুক্রবার (২৭ মার্চ) জুমা’আ নামাজে মুসল্লির সমাগম তুলনামুলক কমই ছিল। স্বাভাবিক অবস্থায় বিশেষত: হয়রত শাহজালাল রহ. ও শাহপরান রহ. মসজিদগুলোতে উপচে পড়া ভীড় জমে মুসল্লীদের। কিন্তু শুক্রবার ছিল ব্যতিক্রম। ছোট সুরাতে ইমাম নামাজ আদায় করছেন, মসজিদের ভেতর অংশ ছাড়া বাইরের অংশ ফাঁকাই ছিল। বাইরের দোকান পাঠ বন্ধ ছিল। মাজার জেয়ারতে মুসল্লীদের অংশগ্রহন চোখে পড়েনি। এরকম অবস্থা ছিল অন্য মুসজিদগুলোত্ওে। প্রশাসনের পরামর্শ অনুযায়ী অনেকেই জুম'আর ফরজ নামাজের আগের ও পরের সুন্নত নামাজ ঘরেই আদায় করে নিয়েছেন। শুধু খুতবা ও ফরজ নামাজের সময়টুকুই মসজিদে ছিলেন। মুসলিরা অনেকেই ঘর থেকে অজু সেরে জায়নামাজ নিয়ে ও মাস্ক পরে মসজিদে গিয়েছেন। নগর এবং শহরতলির বেশ কয়েকটি মসজিদের চিত্র ছিলো এমন। তবে গ্রামাঞ্চলের মসজিদগুলোতে মুসলি সমাগম স্বাভাবিক ছিলো বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, পবিত্র জুম'আর নামাজ জামাআতে আদায় করতে সিলেটে মুসলিদের মসজিদে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে সচেতনতার স্বার্থে একই মসজিদে সবাইকে না যেতে এবং সুন্নত নামাজ বাড়িতে পড়ার পরামর্শ দেয় প্রশাসন। এছাড়া 'হোম কোয়ারেন্টিনে'র আওতায় ব্যক্তি মসজিদে যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়। সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, মসজিদে যেতে মুসলিদের প্রতি কোনো বিধি-নিষেধ নেই। তবে দেশের এই পরিস্থিতিতে সুন্নত নামাজ বাড়িতে পড়ে যাওয়াই ভালো এবং (মুসলমানদের মধ্যে) যারা 'হোম কোয়ারেন্টিনের' আওতায় আছেন তাদের প্রতি বিশেষ পরামর্শ হলো- তারা যেন নামাজ পড়ে নেন বাড়িতেই ।
এদিকে, আজ জুম'আর ফরজ নামাজ শেষে প্রতিটি মসজিদে ইমামের পরিচালনায় মুনাজাতের মধ্য দিয়ে বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসলিরা। মুনাজাতকালে করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী সৃষ্টি হওয়া এই চরম সঙ্কটপূর্ণ মুহুর্তের উত্তরণ কামনায় সৃষ্টিকর্তার কাছে আকুল প্রার্থনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।