গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ১০ দিনের সাধারণ ছুটির দ্বিতীয় দিন চলছে। এদিনে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশই কার্যত আংশিক লকডাউনে আছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। মানুষকে ঘরে রাখতে রাস্তাঘাট, পাড়া-মহল্লা, হাটবাজারে টহল জোরদার করেছে পুলিশ। কোথাও কোথাও জনসমাগম এড়াতে বল প্রয়োগও করেছে পুলিশ। টহল দিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
ছুটির দ্বিতীয় দিনে আজ শুক্রবার রাজধানীর সড়কগুলো কার্যত জনশূন্য। ফাঁকা রাস্তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যমের দু-একটি গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলছে না। ফুটপাতে একজন-দুজন মানুষকে চলতে দেখা যাচ্ছে। গাড়ি না চলায় রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশও তেমন দেখা যায়নি। শুধু ঢাকার রাস্তা নয়, ফাঁকা হয়ে পড়েছে ফুটপাত, বাজার-শপিংমল সবই। গলি-মোড়ের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় সুপারমার্কেট বন্ধ রয়েছে। সব মিলে যানবাহন, বিশৃঙ্খলা, কোলাহলে ভরা ঢাকা পরিণত হয়েছে শান্ত নগরীতে।
তবে জরুরি প্রয়োজনে মানুষকে ঘর থেকে বের হতেই হচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় মানুষজনের দেখা মিলছে। জরুরি প্রয়োজনে মানুষজন ঘর থেকে বের হলেও প্রয়োজন শেষে সবাই আবার ঘরে ফিরে যাচ্ছেন।
রাজধানীর বাইরেও কমবেশি একই চিত্র। আমাদের জেলা প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, হাটবাজারে মানুষের উপস্থিতি একেবারে কম। জনসমাগম এড়াতে পুলিশ-প্রশাসন সকাল থেকেই তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পুলিশি ঝামেলা এড়াতে বেশির ভাগ মানুষ ঘর থেকেই বের হচ্ছেন না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না গ্রামাঞ্চলের মানুষও।
এদিকে ১০ দিনের সাধারণ ছুটিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে সারা দেশ। জনসমাগম এড়াতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ-র্যাব-সেনাবাহিনী। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা, করোনা আতঙ্ক আর মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় দেশের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক নিত্যপণ্যের দোকানও। ফলে জরুরি পণ্য সংগ্রহে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।