২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
ব্রেন টিউমার শব্দটি অনেকের কাছেই পরিচিত। এই নাম শুনলেই অনেকে আঁতকে উঠেন । বিষয়টি অবশ্য ভয় পাওয়ার মতই। ব্রেনের বেশ কিছু টিউমার আছে যা বেশ বিপদজনক। এসব থেকে খুব দ্রুতই খারাপ কিছু হতে পারে। টিউমার হচ্ছে শরীরের যে কোনো জায়গায় বা অঙ্গে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। শরীরের বিভিন্ন জায়গাতেই এই টিউমার হতে পারে। এই টিউমারটি যখন ব্রেনের ভেতরে হয় তখন সেটাকে আমরা বলি ব্রেন টিউমার। ব্রেন টিউমারের রোগী হাসপাতালে এখন প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায় ।
ব্রেন টিউমারের সব কারণ বিজ্ঞানীরা এখনও বের করতে পারেনি। তবে বেশ কিছু কারণ জানা গেছে। এসব কারণের মধ্যে আছে ঃ
১। পারিবারিক কারণ। পরিবারে একজনের থাকলে অন্যজনের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২। রেডিয়েশন। বিভিন্ন রেডিয়েশনের প্রভাবে ব্রেন টিউমার হতে পারে।
৩। বিভিন্ন কেমিক্যাল থেকে হতে পারে এই টিউমার।
৪। বয়স যত বাড়ে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি তত বাড়ে।
৫। ককেশিয়ানদের এই টিউমার বেশি হয়।
ব্রেনে টিউমার হলে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়। এসব লক্ষণের মধ্যে আছে ঃ
১। মাথাব্যথা
২। বমিভাব, বমি
৩। চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া
৪। মাথাব্যথা সকালের দিকে বেশি হয়। হাঁচি, কাশি দিলে ব্যথা বেড়ে যায় ।
৫। খিঁচুনি
৬। মানসিক অবস্থার পরিবর্তন
৭। স্মৃতিশক্তির পরিবর্তন ।
ব্রেন টিউমার ডায়াগনোসিসের জন্য বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। নিশ্চিত হবার জন্য এক্সরে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই এবং বায়প্সি করা হয়।
ব্রেন টিউমারের চিকিৎসায় সার্জারি, রেডিওথেরাপি এবং কেমোথেরাপি দেয়া হয়। একেক টিউমারের জন্য একেক চিকিৎসা। অনেক সময় এই তিন চিকিৎসার মধ্যে একাধিক চিকিৎসা বেছে নিতে হয়। অনেক সময়েই অনেক মানুষ মনে করে, মাথা ব্যথা মানেই ব্রেন টিউমার। কিন্তু আসলে তা নয়। বরং ব্রেন টিউমার অনেক অ্যাডভান্সড হয়ে গেলে তবেই মাথা ব্যথা হয়। অনেকের ধারণা ব্রেন টিউমারের ভাল চিকিৎসা আমাদের দেশে নেই। এই ধারণা একেবারেই ভুল। বাংলাদেশেই এখন সফলভাবে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা হচ্ছে।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।