২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
ক্যাপোসিস সারকোমা এইডস্ শনাক্তকরণে মারাত্মক একটি টিউমার এইচআইভি পজেটিভ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে। এইডস্ রোগে ক্যাপোসিস সারকোমা মৃত্যুর অন্যতম কারণ। ক্যাপোসিস সারকোমা হলো মাইক্রোভাসকুলার এন্ডোথেলিয়াল টিস্যুর টিউমার। কিন্তু এখন মনে করা হয় যে, ক্যাপোসিস সারকোমা হয়ে থাকে হিউম্যান হারপিস ভাইরাস ৮ (ঐঐঠ৮) দ্বারা।
রোগের উপসর্গ : (১) প্রাথমিক পরিবর্তনে ক্যাপোসিস সারকোমা সৃষ্টির কোন ব্যথা থাকে না।
(২) মিউকোসা অথবা মাড়ির পিগমেন্টেশনযুক্ত সমান স্থান বা এলাকা। (৩) সংক্রমণ আকৃতিতে বৃদ্ধি পেলে সংক্রমণ স্থান উঁচু হয়ে থাকে। (৪) বড় সংক্রমণের কারণে খাবার গ্রহণ করার সময় এবং কথা বলতে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। (৫) ধীরে ধীরে আলসারের সৃষ্টি হয় এবং রোগের বিরতিহীন ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।
রোগের চিহ্ন সমূহ : (১) ক্যাপোসিস সারকোমা একটি অথবা অনেকগুলো হতে পারে। নীল, লাল, পার্পল, বাদামী ম্যাকুউলস্, প্যাপুউলস্, নডিউলস্ অথবা আলসার। (২) পুরোনো সংক্রমণের মধ্যবর্তী স্থানে আলসার বা ঘা দেখা যেতে পারে।
ক্যাপোসিস সারকোমা সাধারণত তালুতে হয়ে থাকে, যা উপরের মোলার দাঁতের উল্টোপাশে অবস্থান করে থাকে। ক্যাপোসিস সারকোমার শুরু হয় সমান, নীল অথবা লাল, পার্পল অথবা ম্যাকুউলস্ রূপে। সংক্রমণ যত বাড়তে থাকবে তখন ক্যাপোসিস সারকোমা নডুলার আকৃতির হয় এবং উঁচু হয়। সংখ্যায় একটি বা অনেকগুলো হতে পারে। ক্যাপোসিস সারকোমা কয়েক মিলিমিটার থেকে কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত সাইজ হতে পারে। আলসারের ফ্লোর ধূসর, পঁচনশীল এবং রক্তপাত হতে পারে। ক্যাপোসিস সারকোমার লিশন বা সংক্রমণ মিউকাস মেমব্রেনের উপর বিস্তৃতি লাভ করতে পারে। যেমন- মুখের এবং গলার অভ্যন্তরে এবং চোখের বাইরে এবং চোখের পাতার ভিতরের অংশে। ক্যাপোসিস সারকোমার লিশন ফুসফুসের অভ্যন্তরে এয়ারওয়েতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে এবং শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি করে। পাকস্থলীতেও লিশন বা সংক্রমণ হতে পারে এবং অন্ত্রের অ্যাবডোমিনাল ব্যথা এবং ডায়রিয়া সৃষ্টি করে থাকে।
এজেস বা কিনারা : লাল কিন্তু শক্তভাব অর্থাৎ ইনডুরেশন নেই। মাঝে মাঝে ওরাল ক্যাপোসিস সারকোমা অন্য ইমমিউনোসাপ্রেসিভ অবস্থায় দেখা যায় অর্থাৎ এইচআইভির সাথে সম্পৃক্ত নয়। উদহারণস্বরূপ দীর্ঘমেয়াদি সাইক্লোসপরিন সেবন করলে এমনটি হতে পারে।
তাই মুখের অভ্যন্তরে কোনো শক্ত স্থান, ফোলাভাব বা আলসারযুক্ত স্থান লক্ষ্য করলে বা দীর্ঘদিন অবস্থান করলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
ষ ডা. মো. ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ।
মোবাইল- ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল ঃ ফৎ.ভধৎঁয়ঁ@মসধরষ.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।