মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশজুড়ে তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণার ফলে দেশটির অসংখ্য শ্রমজীবী ও দিনমজুর মানুষের রুটি-রুজি নিয়ে যে সংকট, তা মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার, এমন প্রশ্ন তুলেছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা ও দক্ষিণী অভিনেতা কমল হাসানের। -এনডিটিভি
মোদির উদ্দেশ্যে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন বিরোধী দল কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘প্রশ্ন হল, এই যে ২১ দিন মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারবেন না, সেক্ষেত্রে তাদের খাবারের যোগান আসবে কোথা থেকে? কীভাবেই বা দিন চলবে দেশের হতদরিদ্র মানুষ বা দিনমজুরদের, যারা দিন আনে দিন খায়?’
গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় দেশে ২১ দিন পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করেন মোদি। তিনি এসময় বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে আগামী ২১ দিন কঠিন এক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হবে। এসময় কোনোভাবেই ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। আজ মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই পুরো দেশ লকডাউন।’
ভাষণে মোদি আরও বলেন, ‘ভারতকে বাঁচাতে, তার প্রতিটি নাগরিককে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন আপনি, আপনার পরিবার। আগামী ২১ দিন বাড়ির চৌকাঠ পেরোনোর কথা ভুলে যান। আপনাদের বাড়ির দরজার বাইরে লক্ষণরেখা টানা হল। মনে রাখবেন, এর বাইরে পা রাখা মানে করোনার মতো একটি মহামারিকে বাড়িতে ডেকে আনা।’
প্রধানমন্ত্রীর লকডাউনের ঘোষণার পর অনেকে প্রশ্ন তোলেন, ঘরবন্দি থাকলে তো কাজ পাবেন না অনেকে। আর কাজ করতে না গেলে রোজগারও নেই। দেশের অসংখ্য এমন দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষের মুখে খাবারের জোগান দিতে কী ভাবছে নরেন্দ্র মোদি সরকার? কংগ্রেসও ঠিক একই প্রশ্নই তুলেছে।
দলটির মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার প্রশ্ন, ‘শ্রদ্ধেয় মোদিজি, দেশ তো লকডাউন মেনে চলার জন্যে প্রস্তুত। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রুটিরুজির সংকটের সমাধান কীভাবে হবে? গরিব, মজুর, কৃষক, দোকানদারের ২১ দিন কীভাবে কাটবে? ভাইরাসটির এমন বিস্তারের সময় স্বাস্থ্যকর্মীরাই বা কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন? আপনি তো কিছুই বললেন না।’
তিনি বলেন, ‘কোটি কোটি কারখানা শ্রমিক, দিনমজুর, হকার, শ্রমিক এমন অসংখ্য পেশার মানুষের জীবিকা কীভাবে চলবে তা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি আপনি। তারা কীভাবে আগামী ২১ দিন তাদের পরিবারকে কি খাওয়াবেন এ কথা কি একবারও ভেবেছেন আপনি?’
মোদির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিখ্যাত দক্ষিণী অভিনেতা কমল হাসান (Kamal Haasan) টুইট করে সমালোচনা করেছেন। কমল হাসান টুইট করে দিনমজুর এবং গ্রামীণ মানুষের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে রাতারাতি এমন সিদ্ধান্তের জন্য মোদিকে আক্রমণও করেছেন। কমল হাসান নিজের টুইটে লিখেছেন, এই সময়টা কেবল শিল্পপতিদের সাহায্যের জন্য নয়। কমল হাসানের এই টুইট বেশ ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। বহু মানুষ কমেন্ট করে নিজেদের মতামতও জানাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।