Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেনাপ্রশিক্ষণ স্কুলে হামলায় হতাহত

আরাকান আর্মিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা দিলো মিয়ানমার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মিনবিয়া টাউনশিপে অবস্থিত সেনাবাহিনীর অগ্রসর সামরিক প্রশিক্ষণ স্কুলে হামলা চালিয়েছে আরাকান আর্মি। সোমবার সকালে এই হামলা চালানো হয়। সেনবাহিনীর ট্রু নিউজ ইনফরমেশন টিমের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন বলেন যে মিনবিয়ার কান্নি গ্রামের কাছে ঘটনাস্থলে লড়াইয়ে উভয় পক্ষে ব্যাপক হতাহত হয়েছে। তিনি বলেন, সেনাপ্রশিক্ষণ স্কুলে আকস্মিকভাবে হামলা চালায় আরাকান আর্মি। সকাল ১১টার দিকে লড়াই শেষ হয়। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হই। আমাদের কিছু হতাহত হয়েছে। আরাকান আর্মিও সেনা ও অস্ত্র খুইয়েছে। সেনাপ্রশিক্ষণ স্কুলটি ইয়াঙ্গুন-সিত্তুই রোডের পাশে অবস্থিত। মিনবিয়ার অধিবাসী কো আন থান গেই বলেন, সোমবার সকাল ৬টা থেকে আমরা গোলাগুলির শব্দ শুনেছি। দুপুরের দিকে হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালাতে দেখেছি। আরাকান আর্মির তথ্য কর্মকর্তা খাইং থুকা হামলা চালানোর কথা স্বীকার করলেও বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পত্রিকা মিয়াওয়াদি ডেইলি জানায়, প্রায় ৩০০ এএ যোদ্ধা পাঁচ দিক থেকে স্কুলটির উপর হামলা চালায়। সংঘর্ষের পর সেনাবাহিনী ১৫ আরাকান যোদ্ধার লাশ ও অস্ত্রশস্ত্র খুঁজে পায়। অপর এক খবরে বলা হয়, আরাকান আর্মি (এএ) সোমবার জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠিকে বেআইনি সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। সরকার বলেছে যে, আরাকান আর্মির কর্মকান্ড জনগণের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে এবং দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিনষ্ট করছে। আরাকান আর্মি এই মুহ‚র্তে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক বাহিনীর সাথে তীব্র সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে। সোমবার যে আদেশ জারি করা হয়েছে, সেখানে প্রেসিডেন্ট উ উইন মাইন্ত ঘোষণা দিয়েছেন যে, আরাকান আর্মি, তাদের রাজনৈতিক শাখা ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান (ইউএলএ) ও সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলো ও ব্যক্তিদের কর্মকান্ড ও লক্ষ্য দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে এবং ১৫ (২) ধারা অনুযায়ী এগুলো অনৈতিক কর্মকান্ড। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল সো তুত এই আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। তিনি সন্ত্রাসদমন বিষয়ক কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও কাজ করছেন। লে জেনারেল সো তুত একইসাথে একটি আদেশ জারি করেছেন, যেখানে ইউএলএ এবং আরাকান আর্মিকে সন্ত্রাসী গ্রুপ ঘোষণা দেয়া হয়েছে, যারা রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও হুমকি সৃষ্টি করছে এবং স্থানীয় বেসামরিক ব্যক্তিদেরকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও নিরাপত্তা আউটপোস্টে হামলা চালাচ্ছে। সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাউ মিন তুন দ্য ইরাবতীকে জানিয়েছেন যে, সরকার এবং সামরিক বাহিনী আরাকান আর্মিকে শান্তি প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল “কিন্তু তারা তাদের সহিংস কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে”। তিনি বলেন, “তারা তাদের বোকামি কাজকর্ম অব্যাহত রাখার কারণে তাদেরকে অবৈধ সংগঠন ঘোষণা করা হয়েছে। তাতমাদাউ সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে আসছিল যাতে তাদেরকে অবৈধ ঘোষণা করা হয় এবং সরকার এখন সেটা করেছে”। ইরাবতী, এসএএম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ