প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
করোনা ভাইরাস আতঙ্ক এখন বিশ্বজুড়ে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত বেশ কয়েক জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। জনসমাগমস্থল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছে সরকার। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। করোনা মোকাবেলায় ইতোমধ্যে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
করোনার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনেও। ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে সব ধরণের শুটিং। পাশাপাশি তারকারাও করোনা নিয়ে নানান ধরনের সচেতনামূলক পোস্ট দিচ্ছেন তাদের ফেসবুকে। পরামর্শ দিচ্ছেন বাসায় থাকতে ও নিয়ম মেনে চলতে। পিছিয়ে নেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত চিত্র-নায়িকা পপিও।
পপি বর্তমানে অবস্থান করছেন নিজের গ্রামের বাড়িতে। পপি নিজেও মাস্ক পরে রয়েছেন। সেই সঙ্গে রাস্তায় নেমে তিনি মানুষকে মাস্ক পরিয়ে, স্যানিটাইজার ব্যবহার শিখিয়ে সচেতন করলেন। দেশের এই কঠিন সময় নিজের এলাকার মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি কোরআন খতম সহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করছেন।
এ প্রসঙ্গে চিত্র-নায়িকা পপি বলেন, যতটুকু সম্ভব আমার জায়াগা থেকে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। নিজে সর্তক থেকে সাধারণ মানুষদের করোনা নিয়ে সচেতন করছি। কারণ আমরা সব সময় নিউজ, ফেসবুকের মাধ্যমে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে পারছি। কিন্তু গ্রামের মানুষ করোনাভাইরাস নাম জানলেও এর থেকে মুক্তি কিংবা এর ভয়াবহতা জানে না৷ তাই আমি তাদের সাথে করোনা প্রসঙ্গে কথা বলছি ও সচেতন করার চেষ্টা করছি।
এদিকে পপি তার এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিম খানায় করোনা থেকে মুক্তির জন্য দিয়েছেন কোরআন খতম। পাশাপাশি বিনামূল্যে বিতরণ করছেন মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান। তবে এই মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান ব্যবস্থা করতেও বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছে এই নায়িকাকে। কেননা চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান তেমন ভাবে পাওয়া যাচ্ছে না গ্রাম গুলোতে৷ আর তাই পরবর্তীতে ঢাকা থেকে সব কিছু ব্যবস্থা করে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করেন তিনি।
দেশের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে পপি বলেন, আমরা না হয় কোন ভাবে দিন কাঁটালাম কিন্তু যারা দিনমুজুর তাদের কি হবে? তাই সবার উচিত তাদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া।
তিনি আরও বলেন, 'করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা সবাই চিন্তিত, খানিকটা আতঙ্কিত। এই মূহুর্তে আমাদের যেটা করা উচিত সেটা হচ্ছে, আমাদের এখন বাসায় থাকা উচিত। খুব জরুরি প্রয়োজন না হলে বাইরে বের হওয়া উচিত না। আর যদি হতেই হয় তাহলে যেন মাস্ক পড়ি আর সচেতন থাকি। আমরা আতঙ্কিত না হয়ে এই কিছুদিন বাসায় থাকি সবাই। আর যারা স্বাস্থ্যসেবী আছেন তাদের কাজে কোনরকম ব্যাঘাত না ঘটাই! অকারণে হাসপাতালে ভীড় না জমাই।'
পপি বলেন, 'সবাইকে বলবো, দয়া করে সবাই বাসায় থাকুন। কেউ বাসা থেকে বের হবেন না। নিজে সচেতন থাকুন, অন্য সবাইকেও সচেতন থাকতে বলুন।'
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।