Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বে মৃত্যু ১৯ হাজার, আমেরিকায় আক্রান্ত অন্তত ৫০ হাজার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২০, ৩:৪৯ পিএম

কোভিড-১৯-এ স্পেনে মৃত্যু বেড়ে গিয়েছে ২৩ শতাংশ। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে। সেখানে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯,৬৭৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি এবং এক দিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৮৫ জনেরও বেশি মানুষের। এর ফলে এখন অবধি বিশ্বে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮৯৪৪। ইটালি এবং চীনের পরে করোনা-ত্রাস নিয়ে বিশ্বের নজর এখন এই দেশটিতেই।

শেষকৃত্যের দায়িত্ব পালন করে স্পেনের যে সব সরকারি সংস্থা, তারা গতকাল থেকে জানিয়ে দিয়েছে, করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ তারা নেবে না। কারণ তাদের কাছে এই ধরনের দেহের অন্ত্যেষ্টি করার মতো যথেষ্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। করোনায় মৃতদের দেহ আপাতত পৌঁছচ্ছে একটি আইস রিঙ্কে— মাদ্রিদে এখন সেটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে অস্থায়ী মর্গ হিসেবে।

ইউরোপ জুড়ে এখন লকডাউন দীর্ঘমেয়াদি করা হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। তার মধ্যে নতুন সঙ্কটের মুখে জার্মানি। কেনিয়ার নাইরোবির একটি বিমানবন্দর থেকে ৬০ লাখ মাস্ক হারিয়ে গিয়েছে বলে দাবি। জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই খবর দিয়ে বলেছেন, সেনাবাহিনীর জন্য বাণিজ্যিক সংস্থার কাছ থেকে ওই মাস্ক আনানো হচ্ছিল। জার্মানিতে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। মৃত ১৩০ জন।

জলবায়ু-পরিবর্তন নিয়ে আন্দোলনকারী সুইডেনবাসী কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গ ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছে, সম্ভবত তারও করোনা সংক্রমণ হয়েছিল। তার দাবি, পরীক্ষা করানোর সুযোগ হয়নি। তবে নামমাত্র লক্ষণগুলো ছিল। মধ্য ইউরোপের সফর সেরে ফিরে এসে নিজেকে তাই ১৪ দিন আলাদা রেখেছিল সে। এখন সেরে গিয়েছে। গ্রেটার পরামর্শ, বাড়িতে থেকে বিশেষজ্ঞদের কথা মেনে চললে আতঙ্কের কিছু নেই।

ইটালিতে মৃত এবং আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ৬৪ হাজারের কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত। মৃত ৬ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। দেশের নাগরিক-সুরক্ষা সংস্থার প্রধান বলছেন, আক্রান্তের সংখ্যা যত প্রকাশ্যে আসছে, আসলটা হয়তো তার ১০ গুণ বেশি। তবে আশার কথা একটাই, আজ নিয়ে দ্বিতীয় দিন আক্রান্তের সংখ্যার হারে সামান্য ঘাটতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। নাগরিক-সুরক্ষা সংস্থার প্রধান বলেছেন, আরও কয়েক ঘণ্টা না গেলে বোঝা যাবে না, বৃদ্ধির হারটা সত্যিই কিছুটা কমেছে কি না।

কানাডায় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘বাড়ি যান, সুরক্ষিত থাকুন। আমরা এই নিয়ম পুরোপুরি বলবৎ করতে চাই।’ করোনার সংক্রমণ এড়াতে নিজেকে আলাদা করে রাখা বা ভিড়ে না যাওয়ার মতো সরকারি নির্দেশ কানাডায় অনেকেই মানছেন না বলে অভিযোগ।

আমেরিকায় চিন্তা ক্রমশ বাড়াচ্ছে নিউ ইয়র্ক শহর। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা অন্য সব প্রদেশের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞেরা। মার্কিন জনতার ৪৩ শতাংশকে এখন ঘরবন্দি থাকার কথা বলা হয়েছে। আমেরিকায় মৃতের মোট সংখ্যা ৬৩৪। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আড়াই হাজারের কাছাকাছি। মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। করোনা-সঙ্কটের মধ্যেও গত চার দিন ধরে আমেরিকায় বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের ভোটাভুটি নিয়ে সিনেটে দ্বন্দ্ব চলছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে। ট্রাম্প টুইট করে বলেছেন, ‘মার্কিন কংগ্রেসের উচিত দ্রুত এই প্যাকেজে সায় দেয়া, যত দেরি হবে, আমাদের আর্থিক পরিস্থিতি কঠিন হবে। আমাদের কর্মীরাই ভুগবেন!’ হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি অবশ্য জানিয়েছেন, আগামী কিছু ঘণ্টা পরে হয়তো বা ঐকমত্যে পৌঁছনো সম্ভব হবে। সূত্র: রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ