রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
যশোরের মনিরামপুরে বাকের খালের ওপর সেতু নির্মাণের পরই ফাটল দেখা দিয়েছে। শুধু বাকের খালের এ সেতুই নয়, পার্শ্ববর্তী বালিয়ার খালের ওপর অপর একটি নির্মানাধীন সেতুর স্প্যানে ফাটল এবং রেলিং ধসে রড বেরিয়ে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ এবং সঠিকভাবে তদারকির অভাবে সেতুর এই দশা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে মনিরামপুর উপজেলায় গ্রামীণ রাস্তায় ১৪, ১৫ এবং ১৬ মিটার দৈর্ঘ্যের মোট ২৩টি সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয় তিন কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার ৮৩১ টাকা। ইতোমধ্যে এসব সেতু নির্মাণের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে। ওয়ার্কঅর্ডার দিয়ে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এসব সেতু নির্মান সম্পন্নের নির্দেশনা রয়েছে। এর মধ্যে মনোহরপুর ইউনিয়নের খাকুন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বাকের খালের ওপর ১৪ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয় ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৬৬৬ টাকা। টেন্ডারে এ কাজটি পান যশোরের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিথি এন্টারপ্রাইজ। ইতোমধ্যে এ সেতুটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু নির্মাণের কয়েকদিনের মধ্যে সেতুর রেলিং এবং স্প্যানের গোড়ায় বড় বড় ফাঁটল দেখা দিয়েছে।
শুধু এটিই নয়, পশ্চিম মনোহরপুর কুন্ডুপাড়ার বালিয়ার খালের উপর অপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য ওয়ার্কঅর্ডার দেয়া হয় মেসার্স নাহার এন্টারপ্রাইজকে। সেতুর কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু ইতোমধ্যে সেতুর রেলিং এবং স্প্যানের গোড়া বা ওয়ালে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য সুরেশ চন্দ্র মন্ডল অভিযোগ করেন অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রি দিয়ে রাতে ঢালাই দেয়া এবং ঠিকমত দেখভাল না করায় ব্রিজের একপাশ ফেটে গেছে এবং রেলিং ধসে রড বেরিয়ে পড়েছে।
মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিয়ুর রহমান জানান, সেতু দুটি নির্মাণে সঠিক পরিমান উপকরনের (সিমেন্ট) পরিবর্তে বালুর পরিমান বেশি দেয়া এবং ঢালাইয়ের পর ঠিকমত কিউরিং না হওয়ায় ফাঁটল দেখা দিয়েছে। ফলে এভাবে সেতু নির্মাণ করা হলে ঝুঁকি আরো বেড়ে যাবে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক সমির মিত্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কাজটি লটারিতে পাবার পর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের (পিআইও) মধ্যস্থতায় ১০% লাভে মেসার্স নাহার এন্টারপ্রাইজের কাছে বিক্রি করা হয়। তারপর থেকে কাজটি বাস্তবায়ন করছেন মেসার্স নাহার এন্টারপ্রাইজ। তবে পিআইও আব্দুল্লাহ বায়োজিদ এ অভিযোগ অস্বীকারের পর ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, শুধু ঠিকাদার নয়, প্রায় সকলেই পিআইওর নাম ভাঙিয়ে পার পেতে চায়।
সেতু নির্মাণে কোন প্রকার ত্রু টি মেনে নেয়া হবে না উল্লেখ করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আব্দুল্লাহ বায়োজিদ জানান, ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।