পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
রাজধানীর উত্তরখানের চামুরখান এলাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে মনিরুজ্জামান হাওলাদার মনির (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল শনিবার ভোর ৬টার দিকে উত্তরখানের চামুরখান মনিরের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এর পর পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তবে ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
নিহতের ছোট ভাই মিলন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, তার বড় ভাই মনিরুজ্জামান চামুরখানে নিজের চারতলা বাসায় থাকতো। আর তার বাসায় ভাড়া থাকতো জয়নাল আবেদীন ও তার পরিবার। গত শুক্রবার ওই বাসার পাশের বাসার এক মেয়ের সঙ্গে জয়নাল আবেদীনের ছেলে জহুরুলের বিয়ে হচ্ছিল। অনুষ্ঠান হচ্ছিল মনিরুজ্জমানের বাসায়। এমন সময় সোহেল নামের এক ছেলে বিয়ে বাড়িতে এসে বলে, ওই মেয়ের সঙ্গে তার ৫বছর ধরে সম্পর্ক। এ নিয়ে হট্টগোল শুরু হয়। পরে মনিরুজ্জামান কনের পরিবারের সাথে কথা বললে সোহেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হয়।
মিলন আরও জানায়, বিয়েতে জহুরুলের পরিবারের অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এ জন্য টাকা নিয়ে সোহেলের পরিবারকে বাসায় আসার জন্য খবর দিতে বলে। খবর পেয়ে উত্তরখানের বাসায় আসে সোহেলের বোন ও ভগ্নিপতি। পরে দুই পরিবার কথা বলার পর সিদ্ধান্ত হয় যে, সোহেলের পরিবার জহুরুলের পরিবারকে এক লাখ টাকা দেবে। ওই রাতে সোহেল ও তার বোন চামুরখানের বাসায় থেকে যায়।
নিহত মনিরুজ্জামানের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল ভোরে উত্তরখান থানা থেকে প্রায় ২৫/২৬ জন পুলিশ তাদের বাসায় আসে। এ সময় পুলিশ জানায়, তাদের কাছে অভিযোগ আছে, ওই বাসায় ৫জনকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তিনজনকে ধরে এবং মনিরকে মারতে মারতে চার তলার ছাদে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর পুলিশ তাদের জানায়, মনির স্ট্রোক করেছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সে মারা যায়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ মনিরকে ছাদে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে উত্তরখান থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, ভোরে থানায় খবর আসে উত্তরখানের চামুরখান এলাকার একটি বাসায় ৫জনকে আটক রেখে মারধর করে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে।
এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ সেখান থেকে রায়হান, রাশিদুল ও রাজীব নামের তিনজনকে আটক করে। ওই সময় মনির দৌড়ে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সে মারা যায়। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি বলেন, তার গায়ে কোনো আঘাত করা হয়নি। সে পড়ে গিয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।