নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
করোনাভাইরাস আতঙ্ক এখন বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের প্রায় ১৮৩ টি দেশে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে একজন সহ সারাবিশ্বে মারা গেছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। আক্রান্ত আড়াই লাখেরও বেশি রোগীর মধ্যে প্রায় ১ লাখ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও বাকিরা রয়েছেন চিকিৎসাধীন। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। শুক্রবারের তিনজন সহ এখন বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ জন। এই ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক এখনো আবিস্কার না হওয়ায় আতঙ্কিত দিন কাটাচ্ছেন বিশ্বের সব দেশের মানুষ। ইতোমধ্যে সব ধরণের সভা-সমাবেশ, ধর্মীয়, সামাজিক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছেন বাংলাদেশ সরকার। এখানকার সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পিছিয়ে দেয়া হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষার সূচী। চাপা আতঙ্ক বর্তমানে পুরো বাংলাদেশজুড়ে।
এই আতঙ্ক স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ জেমি ডে এবং সহকারী কোচ ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর স্টুয়ার্ট ওয়াটকিসকে। দু’জনই বর্তমানে ছুটি কাটাতে ইংল্যান্ডে নিজ দেশে অবস্থান করছেন। ছুটিতে থাকলেও বাংলাদেশের ফুটবলার, সমর্থক ও মানুষদের জন্য চিন্তিত এ দুই ব্রিটিশ কোচ। তাই তারা লাল-সবুজের ফুটবল সমর্থক ও মানুষের জন্য বার্তা পাঠিয়েছেন। সবাইকে অনুরোধ করেছেন সচেতন থেকে সরকারী নির্দেশনা মেনে চলতে।
শুক্রবার ইংল্যান্ড থেকে হোয়াটসঅ্যাপে জেমি ডে এবং স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস যৌথ বার্তা পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য। যেখানে জেমি লিখেছেন, ‘প্রিয় বাংলাদেশের মানুষ, স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস এবং আমি এই দুঃসময়ে আমাদের সমর্থকদের জন্য কিছু বলার প্রয়োজন অনুভব করছি। সামনের মাসগুলো হতে যাচ্ছে কঠিন পরীক্ষার সময়। জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে এই সময়টা কাটাতে হবে আমাদের। দয়া করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নির্দেশনা মেনে সুস্থ এবং নিরাপদ থাকুন। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বিচক্ষণ পদক্ষেপ নিন এবং যারা ঝুঁকিতে আছেন, তাদের রক্ষায় সাহায্য করুন।’
তিনি আরো লিখেন,‘সময়ের প্রয়োজনে বাংলাদেশের মানুষ একসঙ্গে প্রার্থনা এবং কাজ করে। এখন আমাদের ভিন্নভাবে একতা দেখাতে হবে, পরস্পরকে রক্ষা করতে হবে। এর মানে হচ্ছে, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে পরস্পরের দূরে থাকতে- এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সামাজিক দূরত্ব।’
হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জেমি ডে যোগ করেন,‘অসাধারণ এই দেশটির মানুষ আতœশৃঙ্খলায় দারুণ দক্ষ এবং এখন এটার চর্চা করতে হবে ভিন্ন কারণে। আমার বিশ্বাস, আপনারা পারবেন। আমাদের জাতীয় দলের খেলা আপাতত থমকে গেছে। কিন্তু যখন ফেরার সময় হবে, আমি আবারো দলকে গর্বের সঙ্গে সামনে এগিয়ে নেব। এই কঠিন সময়ে আপনাদের জন্য আমাদের ভালোবাসা ও শুভ কামনা থাকল যেন সবাই শক্ত থাকতে পারেন। আমাদের প্রার্থনায় বাংলাদেশিরাও আছেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।