Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রিয়ালের সাবেক সভাপতি আশঙ্কাজনক

করোনা আক্রান্ত

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

লরেঞ্জো সাঞ্জের সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের সম্পর্কটা আজকের না। ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছর ক্লাবের পরিচালক ছিলেন। র‌্যামন মেন্দোজার পর ১৯৯৫ সালে তিনি রিয়ালের সভাপতি হন। তার অধীনে রিয়াল একবার করে লিগ ও সুপার কাপ আর দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে। সেই লরেঞ্জো সাঞ্জই আজ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ৭৬ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ীর শরীরে ধরা পড়েছে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি। অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা। এখন হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে তাঁকে।

সাঞ্জ যখন রিয়ালের সভাপতি হলেন ক্লাবের তখন অর্থনৈতিক দুর্দশা। তা সত্তে¡ও নিজ পকেটের টাকা দিয়ে ভ্যালেন্সিয়ার তারকা সার্বিয়ান স্ট্রাইকার প্রেদ্রাগ মিয়াতোভিচ ও সেভিয়ার তারকা ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার ডেভর সুকারকে কিনতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে দুজনকেই পেয়েছিলেন।

সুকার ও মিয়াতোভিচ ছাড়াও সাঞ্জ দলে নিয়ে আসেন আরও বেশ কয়েকজনকে। তাঁদের মধ্যে আছেন-ক্লারেন্স সিডর্ফ, রবার্তো কার্লোস, বোদো ইগনার, ক্রিশ্চিয়ান পানুচ্চি, ফার্নান্দো মরিয়েন্তেস, স্যামুয়েল ইতো, নিকোলাস আনেলকা, স্টিভ ম্যাকমানামানের মতো বিশ্ব মাতানো ফুটবলারদের। তার সময়ে ক্লাব ছাড়া তারকাদের মধ্যে রয়েছেন ইভান জামোরানো ও লুইস এনরিকের মতো উজ্জ্বল তারকারাও। এত কিছুর পরও দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেও সমর্থকদের মন রাখতে পারেননি, ২০০০ সালের সভাপতি নির্বাচনে হেরে যান বর্তমান সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের কাছে।

কিছুদিন আরেক স্প্যানিশ ক্লাব মালাগারও মালিকও ছিলেন সাঞ্জ। পরে ইতালিয়ান ক্লাব পারমাকেও কিনতে চেয়েছিলেন, পারেননি। ২০০৯ সালে স্প্যানিশ চিত্রকর্ম পাচারের দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া সাঞ্জের আরেকটি পরিচয়- দলটির সাবেক তারকা ডিফেন্ডার মিশেল সালগাদোর শ্বশুর তিনি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবল

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ