নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে গত সোমবার স্থগিত হয়েছে দেশের সব ঘরোয়া আসরের খেলা। ফলে পরের দিন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ, নারী ফুটবল লিগ ও ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের খেলা বন্ধ থাকে। এছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে যে সব ফেডারেশন বিভিন্ন খেলাধুলা শুরু করেছিল তাও বন্ধ হয় মঙ্গলবার। এবার লিগের পর বন্ধ হলো নারী ফুটবলারদের ক্যাম্পও। করোনাভাইরাস আতঙ্কেই বুধবার এই ক্যাম্প বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে নারী লিগে খেলা দলগুলোর ক্যাম্প। শুধু তাই নয়, বাফুফে পরিচালিত ক্যাম্পে যেসব নারী খেলোয়াড়রা ছিলেন তাদেরও ছুটি দেয়া হয়েছে। ফলে ফুটবলাররা এখন যে যার বাড়ির পথ ধরেছেন।
নারী লিগে খেলছেন না এমন ৫৮ জন ফুটবলার ছিলেন বাফুফের ক্যাম্পে। এরা বয়সভিত্তিক দলের খেলোয়াড়। জাতীয় মহিলা দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের অধীনে এরা বাফুফে ভবনের টার্ফে অনুশীলন করতেন। এখন ক্যাম্প বন্ধ হওয়ায় তারা সবাই নিজ বাড়িতে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে ছোটন বলেন, ‘এই মুহূর্তে অনুশীলন চালানোর মতো পরিস্থিতি নেই। তাই ক্যাম্প স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছি। তারা সবাই বাড়ি যাচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে দ্রæততম সময়েই ক্যাম্প শুরু হবে।’
সাত বছর পর দেশে হচ্ছে নারী লিগ। এই লিগে সবচেয়ে শক্তিশালী দল বসুন্ধরা কিংস। ক্লাবটি এক সপ্তাহের জন্য খেলোয়াড়দের ছুটি দিয়েছে। বসুন্ধরা কিংসের কোচ মাহমুদা শরিফা অদিতি বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের সাত দিনের জন্য ছুটি দিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক বা উন্নতি হলে সাত দিন পর আবার অনুশীলন শুরু হবে। কোনো কারণে অবনতি হলে এই ছুটি বাড়তে পারে।’ ইতোমধ্যে ফুটবলারদের ছুটি দিয়েছে নারী লিগের অন্য দুই দল নাসরিন ফুটবল একাডেমি ও বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ক্লাবও। বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, নারী লিগে খেলা বাকি ক্লাবগুলোও তাদের ক্যাম্প ও অনুশীলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।