মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিম মিয়ানমারের চিন রাজ্যের পালেটওয়া টাউনশিপ সামরিক বাহিনীর জঙ্গি বিমান থেকে গুলি বর্ষণের ঘটনায় ২১ গ্রামবাসী নিহত হয়েছে এবং প্রায় দুই ডজন আহত হয়েছে। স্থানীয় অধিবাসী এবং ত্রাণ গ্রচপগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। মেইকসা ওয়া ভিলেজ ২, মেইকসা ওয়া ভিলেজ ৩, ওয়েতমা এবং পিয়াইং তাইন গ্রাম থেকে এই সব হতাহতের খবর জানানো হয়েছে। আরাকান আর্মি মিওয়া গ্রামের পাহাড়ের উপরে অবস্থিত সামরিক বাহিনীর একটি আউটপোস্ট দখলের চেষ্টা করলে টাউনশিপের কিছু অংশ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই লড়াই শুরু হয়েছে। সোমবার ১০টি গ্রামের প্রায় ২,০০০ অধিবাসী পালেটওয়ার প‚র্বদিকের সামি এলাকায় পালিয়ে গেছে। এই ১০টি গ্রামের মধ্যে হতাহতের ৪টি গ্রামও রয়েছে। ওয়েতমা, পাইং তিন এবং মেইকসা ওয়া গ্রামগুলোর উপর ভয়ঙ্কর হামলার পর এই অধিবাসীরা পালিয়ে যান। চিন রাজ্যের মিউনিসিপ্যাল কর্ম, বিদ্যুৎ ও শিল্প বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী সালাই ইসাক খেন এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রাম থেকে পালিয়ে আসা কিছু মানুষ সোমবার বিকালেই সামি শহরে পৌঁছেছেন। কিন্তু অনেকেই তখনও পথে ছিলেন বলে জানিয়েছেন মেইকসা ওয়া গ্রামের প্রশাসন উ মাউং সান থার। রোববার বিকাল ৫টার দিকে তিনি বাড়ি ছেড়ে রওনা দেন। তিনি বলেন রোববারের জঙ্গি বিমান হামলার পর থেকে ওয়েতমা গ্রাম এলাকার সাতটি গ্রাম থেকে গ্রামবাসীরা পালিয়ে গেছে। সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে সালাই ইসাক খেন লিখেছেন, “আমরা জানতে পেরেছি যে, সামি শহরের হাসপাতালে যথেষ্ট মেডিকেল সরঞ্জাম ও ডাক্তার নেই, এবং তাদের সহায়তা প্রয়োজন”। স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, শনিবার মেইক সা এলাকায় তাতমাদাওয়ের জঙ্গি বিমান থেকে হামলার ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়। পরদিন জঙ্গি বিমান থেকে আরও হামলা চালানো হয় এবং ওয়েতমানকে আটজন নিহত হয় পাইং তান গ্রামে একজন নিহত হয়। সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাউ মিন তুন বলেন যে, সামরিক বাহিনী যখন শত্রæর দিকে পাল্টা গুলি ছুড়ছিল, তখন বলা মুশকিল গ্রামবাসী কাদের গুলিতে হতাহত হয়েছে। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসের একটি নোটিশের দিকে ইঙ্গিত করেন, যেখানে বলা হয়েছে যে, মেইকসা (প‚র্ব) ও মেইকসা (পশ্চিম) গ্রামের আউটপোস্ট আরাকান আর্মির গেরিলারা ঘিরে রেখেছিল এবং সে কারণে সেনাদের তাদের দিকে গুলিবর্ষণ করা ছাড়া উপায় ছিল না। পারস্পরিক এই গুলি বিনিময়ের কারণে কিছু গ্রামবাসী হতাহত হয়েছে। দ্য ইরাবতী, এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।