Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রবল যুদ্ধে কালাদান পাড়ের ২০ গ্রাম জনমানব শূন্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কিয়াউকতাও ও চিন রাজ্যের পালেতওয়ার মধ্যবর্তী সীমান্তে কালাদান নদীর প‚র্ব পাড়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে মাসব্যাপী যে যুদ্ধ চলছে, সেই যুদ্ধের কারণে ওই অঞ্চলের প্রায় ২০টি গ্রাম মানুষশ‚ন্য হয়ে পড়েছে। মন্ট থান পাইন গ্রামের প্রশাসক ইরাবতীকে বলেন, “আমাদের গ্রামকে ছাই করে দেয়া হয়েছে। বেশ কয়েকদিন আগেই সবগুলো ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আর শুক্রবার গ্রামের উপাসনালয়ের উপর আর্টিলারি শেল পড়েছে”। তিনি আরও বলেন, “কালাদান নদীর পাড়ে যারা বাস করেন, তারা সবাই হয় পালেতওয়া অথবা কিয়াউকতাউতে পালিয়ে গেছে। এখনও প্রবল যুদ্ধ হচ্ছে। ফিরে যাওয়ার মতো কোন ঘর আর আমাদের নেই। এমনকি উপাসনার জায়গাটাও আমাদের শেষ হয়ে গেছে”। কালাদান নদীর পূর্ব পাড়ের সাতটি গ্রাম এবং পশ্চিম পাড়ের ১১টি গ্রাম জনশ‚ন্য হয়ে গেছে। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এই লড়াই চলছে। পালেতওয়া টাউনশিপের মিওয়া পাহাড়চ‚ড়ার সামরিক বাহিনীর আউটপোস্টকে ঘিরে এই যুদ্ধ চলছে। আরাকান আর্মি এই আউটপোস্টটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করেছিল বলে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। মন্ট থান পাইন, পিয়াইং তাইন এবং কিয়াউ শি পাইন গ্রামগুলোতে শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। শেলের আঘাতে বেশ কিছু গ্রামবাসী হতাহত হয়েছে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মন্ট থান পাইন গ্রাম। শেলের আঘাতে গ্রামের ৬৬টি বাড়ির সবগুলো গুড়িয়ে গেছে। বহু গবাদি পশুও এতে মারা পড়েছে। রাখাইন রাজ্যের কিয়াউকতাউ এলাকার এমপি উ মাউং মাউং দ্য ইরাবতীকে বলেন যে, “বহু মানুষ শহর এলাকায় পালিয়ে গেছে। শহরের মানুষ শেলের শব্দ সহ্য করতে পারছে না”। কালাদান নদীর পূর্ব পাড়ে তিন মা গ্রামের কাছে বৃহস্পতিবার দুটো জঙ্গি বিমান নিয়ে হামলা করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। গ্রামের এক বৌদ্ধ ভীক্ষু এ তথ্য জানান। ওই ভীক্ষু দ্য ইরাবতীকে বৃহস্পতিবার বলেন, “আমাদের গ্রামের কাছে প্রায় প্রতিদিনই লড়াই হচ্ছে। আজ সামরিক বাহিনী দুটো জঙ্গি বিমান নিয়ে হামলা করেছে। গ্রামের বাইরে পাহাড়ের উপর সামরিক বাহিনী অবস্থান নিয়েছে। তারা শেলও নিক্ষেপ করেছে। ভারী বন্দুকের শব্দ সহ্য করতে না পেরে, আমি মঠ বন্ধ করে চলে এসেছি”। সামরিক বাহিনী এবং আরাকান আর্মি উভয়েই নিশ্চিত করেছে যে, আরাকান আর্মির যোদ্ধা আর ৭ নং লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের মধ্যে লড়াই হয়েছে। দ্য ইরাবতী, এসএএম।



 

Show all comments
  • Bachchu Mian ১৫ মার্চ, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 0
    মিয়ানমারের উপরে মিগগরিই আল্লাহর অভিসম্পাত নাজিল হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • তরুন সাকা চৌধুরী ১৫ মার্চ, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 1
    মিয়ানমান এক সময় ধ্বংস হতে বাধ্য । আল্লাহই ভালো জানেন কতদিন নাগাদ টিকে আছে।
    Total Reply(0) Reply
  • কে এম শাকীর ১৫ মার্চ, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 0
    মিয়ানমারের শোচনীয় পতন দেখার অপেক্ষায় আছি।
    Total Reply(0) Reply
  • হারুন ১৬ মার্চ, ২০২০, ১১:১২ এএম says : 0
    মায়ানমার ধ্বংস হবেই।
    Total Reply(0) Reply
  • jack ali ১৯ মার্চ, ২০২০, ১১:৩৩ এএম says : 0
    May Allah destroy Busmis Barbarian Government along with their barbarian Army with coronavirous''' Ameen
    Total Reply(0) Reply
  • BONY ২০ মার্চ, ২০২০, ২:৫৮ এএম says : 0
    MYANMAR IS CONTROLLED BY CHINA.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ