মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া দাঙ্গায় হিন্দুত্ববাদি দাঙ্গাবাজরা অন্তত ১৪টি মসজিদ ও একটি সুফি দরগাহ পুড়িয়ে দিয়েছে।
কয়েকটি মসজিদের অবস্থা দেখে মনে হয় এগুলোর জানালা দিয়ে আগুনে বোমা ছুঁড়ে দেয়া হয়েছে। জানালাগুলোর কাঁচ ভেঙ্গে সেগুলো খোলা হয়েছে। বাকিগুলোর ভেতরে ঢুকে দাঙ্গাবাজরা আগুন লাগানোর আগে ভাঙচুর করে, পবিত্র কোরআন শরীফ ও বিভিন্ন কিতাব ছিঁড়ে ফেলে, আসবাবপত্র ভাঙচুর, বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ফেলা, যেগুলো ভাঙ্গা যায়নি সেগুলো দুমড়ে-মুচড়ে দেয়া হয়। যেসব মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিনরা সময়মতো পালাতে পারেননি, তাদের উপর রড, ব্যাটন নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে দাঙ্গাবাজরা।
প্রকাশ্য দিনের বেলা বেশিরভাগ হামলা হয়েছে। কাছাকাছি বাস করেন এমন হিন্দু ও মুসলিম অধিবাসীরা বলেছেন যে দাঙ্গাবাজরা ‘জয় শ্রী রাম’ শ্লোগান দিতে দিতে মসজিদগুলোতে হামলা করে। দাঙ্গাবাজদের সংখ্যা একেক জায়গায় একেকরকম ছিলো। সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাঙচুর চালানো ও অগ্নিসংযোগকারী দাঙ্গাবাজ সংখ্যা ২০-এর বেশি ছিলো না।
মাত্র ১০ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যেই ১৪টি মসজিদ ও দরগাহটির অবস্থান। পাড়া-মহল্লাগুলোতে হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের বাস। এসব মসজিদের অনেকগুলো সেই ১৯৭০-এর দশকে তৈরি। মসজিদের কয়েকটি মহল্লার এত ভেতরে যে স্থানীয় লোকজনের সাহায্য ছাড়া এগুলো খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যেখানে মুসজিদ পোড়ানো হয়েছে সেখানে মুসলমানদের বাড়িঘরও দাঙ্গাবাজদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। বিষ্ময়কর হলো যেসব এলাকায় হামলা হয়েছে সেখানকার ছোট বা বড় একটি হিন্দু মন্দিরও ভাঙচুর করা হয়নি।
দিল্লিতে এখন চলছে ধ্বংসাবশেষ সরানো কাজ। কিন্তু এই ঘটনায় ন্যায়বিচার পাওয়া বহু দূরের পথ বলে মনে হচ্ছে। যে দরগা ভেঙ্গে ফেলা হয় সেটি ছিল সৈয়দ চাঁদ বাবা দরগাহ। আর ভেঙ্গে ফেলা মসজিদগুলো হচ্ছে, শিব বিহারের চাঁদ বাগ মদিনা মসজিদ, আওলিয়া মসজিদ, শিব বিহার তৈয়বা মসজিদ, অশোক নগরের মাওলা বখশ মসজিদ, চাঁদ মসজিদ, ঘরহি মেন্দুর এলাকার মুবারক মসিজদ, গামরিতে গামরি মসজিদ, ভাগিরথি বিহারের মিনা মসজিদ, মিলান গার্ডেনসে মদিনা মসজিদ, গোকারপুরিতে জান্নাতি মসজিদ, শেরপুর চকের ফাতিমা মসজিদ ও ব্রিজপুরি এলাকার ফারুকি মসজিদ। এগুলোতে বুঝা যায় কেমন নিয়মতান্ত্রিকভঅবে মসজিদগুলো ধ্বংস করা হয়েছে, যা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বড় প্রমাণ। সূত্র: এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।