Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চেলসি ম্যানিংকে মুক্তি দিতে নির্দেশ মার্কিন আদালতের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০২০, ৩:০৮ পিএম

মার্কিন সামরিক বাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা বিশ্লেষক চেলসি ম্যানিংকে ভার্জিনিয়ার কারাগার থেকে ছেড়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি কেন্দ্রীয় আদালত। উইকিলিকসের বিরুদ্ধে গ্র্যান্ড জুরির তদন্তে সাক্ষ্য দিতে রাজি না হওয়ায় গত বছরের মে মাস থেকে ভার্জিনিয়ায় তাকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করায় তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করা হয়েছিল।

আজ শুক্রবার ভার্জিনিয়ার একটি কেন্দ্রীয় জেলা আদালতে তার হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ম্যানিংয়ের আইনজীবীরা জানান, বুধবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ম্যানিং। পরে তাকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর একদিন পরই তার মুক্তির আদেশ দিলেন আদালত। এ সময় বিচারক অ্যান্থনি জে ট্রেংগা বলেন, গ্রান্ড জুরির সামনে ম্যানিংয়ের ফের উপস্থিত হওয়া লাগবে বলে মনে করছি না। আর তাকে আটক রাখার মধ্য দিয়ে কোনো দমনমূলক উদ্দেশ্য হাসিল হবে বলে মনে করেন না আদালত। কাজেই তাকে ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে উইকিলিকসের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক হাজার গোপন সামরিক ও কূটনৈতিক তথ্য ফাঁস করে দেন ম্যানিং। ২০১৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহসহ বেশ কয়েকটি অপরাধে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাকে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার শাস্তি মাফ করে দেন।

পরবর্তীতে গত বছর উইকিলিকস ও সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে ফের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একইসঙ্গে তদন্তে অসহযোগিতার দায়ে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়। তার আইনজীবীরা এই জরিমানা মওকুফ করে দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু আদালত তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন।

সামরিক আদালতের দণ্ড পাওয়ার একদিনের মাথায় ম্যানিং নিজেকে নারী দাবি করে বাকি জীবন চেলসি ম্যানিং নামে কাটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কারাগারে হরমোন চিকিৎসা পাওয়ার দাবিও তুলেছিলেন ম্যানিং। সেই সময় পুরুষদের জন্য নির্ধারিত একটি সামরিক কারাগারে থাকাবস্থায় তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মার্কিন কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ম্যানিংয়ের ফাঁস করা তথ্যে তাদের অনেক কর্মকর্তার জীবন বিপন্ন হয়েছে। অন্যদিকে সাবেক এ গোয়েন্দা বিশ্লেষকের ভাষ্য, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে জনগণের মধ্যে বিতর্ক উসকে দেয়ার লক্ষ্যেই তিনি তথ্যগুলো প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ