Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইরাকে ইরানপন্থিদের ঘাঁটিতে মার্কিন বিমান হামলা শুরু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০২০, ১২:২১ পিএম

ইরাকের তাজি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলার জবাবে ইরানপন্থি একটি মিলিশিয়া বাহিনীর ঘাঁটি ও কাতাইব হিজবুল্লাহর ৫টি অস্ত্রাগার লক্ষ করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে বুধবার তাজি সামরিক ঘাঁটিতে ১৮টি কাতিউশ রকেট আঘাত হানে। সেদিনের হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও এক ব্রিটিশ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

ইরানপন্থি মিলিশিয়া গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহই এ হামলা চালিয়েছে বলে এক মার্কিন কমান্ডার দাবিও করেছিলেন।
“কাতাইব হিজবুল্লাহরই ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র ও জোট বাহিনীর ওপর এ মাত্রার হামলা চালানোর সামর্থ্য আছে,” মার্কিন সিনেটের কমিটিকে এমনটিই বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাকেনজি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের বিমানগুলো ইরানপন্থি কাতাইব হিজবুল্লাহর বিভিন্ন স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।
“এসব স্থাপনার মধ্যে তাদের অস্ত্রাগারগুলো আছে, যেখান থেকে নেওয়া অস্ত্র ব্যবহার করেই যুক্তরাষ্ট্র ও জোট বাহিনীর ওপর হামলা হয়। আমাদের পাল্টা হামলা ছিল আত্মরক্ষামূলক, সমানুপাতিক এবং ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর হুমকির সরাসরি প্রতিক্রিয়া,” বলেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার।
যুক্তরাষ্ট্র তার নাগরিক, স্বার্থ এবং মিত্রদের ওপর হামলা সহ্য করবে না এবং এগুলো রক্ষায় যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী উত্তর সিরিয়া ইরান সমর্থিত ইরাকি শিয়া মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্যদের ওপর বিমান হামলার কথা অস্বীকার করেছিল।

পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের নিয়ন্ত্রণাধীন ওই ঘাঁটিতে হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিল বলে যুদ্ধপরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থা দাবি করেছিল।
বুধবার রাতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট ইমাম আলি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করেছে বলেও জানিয়েছিল তারা। ঘাঁটিটি ইরানই বানিয়েছিল বলেও অনুমান করা হয়।
গত অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মার্কিন দূতবাসসহ বিভিন্ন ঘাঁটিতে ২২তম হামলা চালানো হয়েছে বুধবার। এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। ইরান-সমর্থিত হাশেদ আল-শাবি নেটওয়ার্কে উপদল কাতায়েব হিজবুল্লাহকে দায়ী করছে ওয়াশিংটন। বুধবারের হামলায় আরও ১৪ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে আমেরিকান, ব্রিটিশ ও পোলিস রয়েছে।

এক মার্কিন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, বৃহস্পতিবারের অভিযানে রসদ কেন্দ্র ও ড্রোন ভান্ডার ইউনিটসকে নিশানা করা হয়েছিল। মধ্যরাতের ওই হামলায় বিভিন্ন ধরনের বিমান ব্যবহার করা হয়েছে। এটা ছিল সুনির্দিষ্ট মার্কিন অভিযান। এতে জোট বাহিনী অংশ নেয়নি।

ইরাকি নিরাপত্তা সূত্র জানায়, দক্ষিণ বাগদাদের জুরফ আল-সখর এলাকায় পাঁচটি ভারী ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। কাতায়েব হিজবুল্লাহ ওই এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ করছে।
বিস্ফোরণে আশপাশের বাড়িঘর ও ইরাকের সামরিক স্থাপনাগুলো কেঁপে ওঠে। সেখানে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই হামলার পর মার্কিন বাহিনী ও ইরানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইরাক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ