Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিপজ্জনক মোড় নিচ্ছে বিজেপি সরকারের নীতি : কুরেশি

ভারতে মুসলিম গণহত্যায় আন্তর্জাতিক সমাজের নীরবতায় পাকিস্তানের ক্ষোভ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি ভারতের মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের প্রতিক্রিয়ায় দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারতে মুসলমান ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রকাশ্যেই লঙ্ঘন করা হচ্ছে, কিন্তু তার পরও মানবাধিকারের দাবিদার পাশ্চাত্যের দেশগুলো এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এ ব্যাপারে নীরব রয়েছে। পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুসলমানদের ব্যাপারে ভারতের বিজেপি সরকার যে নীতি নিয়েছে তা খুবই বিপজ্জনক দিকে মোড় নিচ্ছে- মুসলমানদের ওপর হামলা ও হত্যাকাÐই যার একমাত্র উদ্দেশ্য। স¤প্রতি ভারতের মুসলমানরা নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোয় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা নৃশংসভাবে হামলা চালিয়ে ৫০ মুসলমানকে হত্যা করে এবং সহিংসতায় আহত হয় আরো শত শত মুসলমান। কিন্তু ভারতে মুসলিম গণহত্যা এবং ভয়াবহ জুলুম-নির্যাতনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজের নীরবতা সবাইকে বিস্মিত করেছে। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে স¤প্রতি নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী মুসলমানদের ওপর উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা হামলা চালালে বহু মানুষ হতাহত হয়। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমাজ টুঁশব্দটিও করেনি। বিস্ময়কর এ নীরবতা ভারতের উগ্র হিন্দুদের জন্য সবুজ সঙ্কেত এবং তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মার্কিন ফরেন পলিসি সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে আমেরিকার ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অশুতোষ ভারশেনি বলেছেন, ‘দিল্লিতে মুসলিম গণহত্যা সম্প‚র্ণ প‚র্বপরিকল্পিত।’ বলা যায়, এসব উগ্র হিন্দুদের সাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উগ্র নীতির সাথে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। ২০০২ সালে গুজরাটে সংঘটিত মুসলিম গণহত্যার সময়ও নরেন্দ্র মোদি সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন। তার উপস্থিতিতে ভয়াবহ ওই গণহত্যায় সরকারি হিসাব মতে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল, যাদের বেশির ভাগই ছিল মুসলমান। স¤প্রতি নয়াদিল্লিতে মুসলমানদের ওপর গণহত্যা চালানো ছাড়াও উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা অন্তত ১০টি মসজিদে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যা রোধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি এবং চেয়ে চেয়ে দেখেছে। এমনি কোনো কোনো ক্ষেত্রে খোদ পুলিশও উগ্র হিন্দুদের সাথে তালি মিলিয়ে মুসলমানদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভারতে মুসলিমবিরোধী সহিংসতার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজের নীরবতা খুবই দুঃখজনক। এক দিকে পাশ্চাত্যের প্রভাবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নীরবতা অন্য দিকে মুসলিম দেশগুলোর নিষ্ক্রিয় অবস্থানের কারণে ভারতে অবাধে মুসলিম নিধন চলছে। এ অবস্থায় ভারতের ইসলামী সংগঠনগুলো এবং বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর উচিত মুসলমানদের ওপর হত্যা নির্যাতন অব্যাহত থাকার পরিণতির ব্যাপারে ভারত সরকারকে সতর্ক করে দেয়া। এরই মধ্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতাসহ অন্য কর্মকর্তারা ভারতে মুসলিম হত্যাকাÐের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এসএএম, পার্সটুডে।

 

 



 

Show all comments
  • shagor ১৩ মার্চ, ২০২০, ১০:৩৮ এএম says : 1
    পাকিস্তান শুরু থেকে শুধু বিভিন্ন রকম কথা বলে আসছে। কিন্তু তাদের চোখের সামনে কাশ্মীরে সবই হয়ে গেলে, এখনো হচ্ছে। তারা কিছুই করছে না। এই মুনাফিকগুলো মিথ্যুক। মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Monjur Rashed ১৩ মার্চ, ২০২০, ৫:০০ পিএম says : 0
    Pakistan tried their best compared to any other Muslim country. On the other hand, rulers of Saudi Arabia & Emirates are embracing Mr Modi thus inspiring him to continue brutality in India. These Gulf countries spent billions of dollars for Afghanistan war in the decade of 1980 on behalf of USA but did nothing for Indian Muslims except establishing mosques & madrasahs.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিজেপি


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ