Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক ভূমিকা বহাল থাকছে মিয়ানমারে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

মিয়ানমারের পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা হ্রাসের লক্ষ্যে স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সংবিধান সংশোধনের একটি প্রস্তাব রুখে দিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে এক ভোটাভুটিতে বাতিল হয়ে যায় প্রস্তাবটি। ৬৩৩ এমপির মধ্যে ৪০৪ জনই এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। ফলে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে পার্লামেন্টে সেনা প্রভাব কমানোর সু চির স্বপ্ন গোড়াতেই ভেঙে গেল। সেই সঙ্গে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়ে উঠল। খবর এএফপির। ইরাবতীর খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের ২০০৮ সালের সংবিধানে সেনাবাহিনীকে যে রাজনৈতিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তা খর্ব করার জন্য গত এক বছর ধরে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমক্রেসি (এনএলডি) যে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে তা ব্যর্থ হয়েছে। সংবিধানে বেশ কিছু গুরুত্বপ‚র্ণ সংশোধনী আনার জন্য মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টে যে ভোটাভুটি হয় তা প্রয়োজনীয় ৭৫ শতাংশ এমপি’র সমর্থন লাভ করতে পারেনি। সংবিধানের ১৪টি অনুচ্ছেদ সংশোধনের জন্য এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ছিলো জাতীয় রাজনীতিতে প্রতিরক্ষা বাহিনীর ভূমিকা কমানো, পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর আসন সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমিয়ে আনা এবং সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কমান্ডার হিসেবে সেনা প্রধানের ভূমিকা ও জরুরি অবস্থার সময় তার ক্ষমতা গ্রহণের অধিকার খর্ব করা। শুধু দুটি প্রস্তাব পাস হয়। এগুলো হলো বর্মিভাষায় ‘অক্ষম’ শব্দটি লেখা। এটা সংবিধানের ৪৩৬(এ) ধারায় অনুমোদন দেয়া হয়। তবে
এর জন্য জাতীয় গণভোটে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে। দ্য ইরাবতী, এসএএম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ