বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সন্ন্যাসী সরকারপাড়া গ্রামে এক কিশোরীকে (১৬) শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে বুধবার (১১ মার্চ) দুপুরে সদর থানা পুলিশ সমাজসেবা কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিকে সাথে নিয়ে কিশোরীটিকে শিকলমুক্ত করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে কিশোরীটিকে তার দাদুর জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাবা-মাকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করায় ক্ষুব্ধ ছিলেন পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার ঘটনা জানাজানির পর কিশোরীর পিতা রিয়াজুল ইসলাম মেয়েকে বুঝিয়ে ঘরে রেখে যান। পরে মেয়েটি বেশ কয়েকবার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে নিবৃত করতে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। কিশোরীটি চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
কিশোরীর দাদু আলহাজ¦ এলাহী বকস জানান, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত একই গ্রামের সবুজের সাথে গত বছর অক্টোবর মাসে গোপনে বিয়ে রেজিস্ট্রি করে তার নাতনী। সম্প্রতি ঘটনা জানাজানি হলে বাড়ি থেকে বারবার পালানোর চেষ্টা করে সে। ফলে তাকে নিবৃত করতে এবং নিরাপত্তার কথা ভেবে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।
বিষয়টি নিয়ে হলোখানা ইউপি চেয়ারম্যান উমর ফারুখ জানান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মেয়েটিকে শিকল মুক্ত করি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এসএম হাবিবুর রহমান জানান, তাকে ঘরের মধ্যে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। আমরা তাকে মুক্ত কওে থানায় নিয়ে আসি।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিকলবন্দি কিশোরীর ঘটনা জানাজানির পর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খানের নির্দেশে দুই হাত শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় কিশোরীটিকে তার ঘরে দেখতে পাই। পরে মেয়েটির নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। বিকেলে মেয়েটিকে তার দাদুর জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।