Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র, আফগান নেতাদের বিভেদ ঘোচানোর চেষ্টা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০২০, ৫:৫৮ পিএম

যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে। মার্কিন সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। এর মাধ্যমে তালেবানদের সাথে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তিকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলো যুক্তরাষ্ট্র। একই সাথে তারা তালেবান বন্দীদের ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির প্রতিশ্রুতিরও প্রশংসা করেছে তারা।

২৯ ফেব্রুয়ারি মার্কিন-তালেবান যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, সেটাকে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ বছরের দীর্ঘ যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো আফগান-অভ্যন্তরীণ আলোচনা। এই আলোচনায় তালেবানরাসহ আফগানিস্তানের সবগুলো পক্ষ দেশের ভবিষ্যতের জন্য একটা রোডম্যাপ তৈরি করবে।

কিন্তু গনি আর তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ দুজনেই সোমবার আলাদা আলাদা অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। আব্দুল্লাহ এবং নির্বাচন অভিযোগ কমিশন গত বছরের নির্বাচন নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছে। এই দ্বৈত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান তালেবানদের সাথে আলোচনায় বসার পরিকল্পনাকে বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দিয়েছে। যদিও গনি মঙ্গলবার বলেছেন যে, তিনি একটা আলোচক দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।

আফগান সরকারের মধ্যে যে বিভাজন দেখা দিয়েছে, সেটা থেকে বোঝা যায় যে, ওয়াশিংটনের শান্তি দূত জালমাই খলিলজাদকে কি ধরণের কঠিন ভূমিকা পালন করতে হয়েছে। তিনি বিবাদমান দুই নেতাকে একত্র করার চেষ্টা করেছিলেন। মঙ্গলবার দিনের শুরুতে এক টুইটে খলিলজাদ বলেন যে, তিনি আশা করছেন যে, দুই নেতা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মোটের উপর গ্রহণযোগ্য একটা সরকার গঠনের ব্যাপারে একমত হবে। আমরা আমাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবো।

আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র সনি লেগেট মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, সামরিক বাহিনী ‘১৩৫ দিনের মধ্যে শর্ত সাপেক্ষে ৮,৬০০ সেনা কমিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে’।

বর্তমানে, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩,০০০ এর মতো সেনা রয়েছে। এর মধ্যে ৮,০০০ সেনা আফগানিস্তানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি ফোর্সের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়ার কাজে নিয়োজিত। প্রায় ৫,০০০ সেনা সন্ত্রাস দমন অভিযানে নিয়োজিত। একই সাথে আফগান সেনাবাহিনীর অনুরোধে তাদেরকে সামরিক সহায়তাও দিয়ে থাকে তারা।

৫,০০০ তালেবান বন্দীকে মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করে এসেছেন গনি। মার্কিন-তালেবান চুক্তিতে এই বন্দী মুক্তির বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। গনি সোমবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘোষণা দেন যে, বন্দীদের মুক্তি দেয়ার জন্য তিনি আদেশ জারি করবেন। এর আগে যুক্তরাস্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতেরা তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। সূত্র: রয়টার্স।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ