মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের লুধিয়ানার জলন্ধর বাইপাসের কাছে কৃষক, শিল্প খাত, কৃষি খাত এবং বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী, তরুণ ও শিক্ষার্থীদের গ্রুপ এবং বেশ কতগুলো ধর্মীয় গ্রুপসহ ১৪টি সংগঠন সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট, ন্যাশনাল পপুলেশান রেজিস্টার ও ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স এবং নয়াদিল্লীর সাম্প্রতিক দাঙ্গার বিরুদ্ধে জেলা পর্যায়ের সমাবেশ করেছে।
বিভিন্ন ধর্ম ও জাতীয়তার হাজার হাজার নারী পুরুষ সমাবেশে শ্লোগান দিয়েছে – ‘হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খ্রিস্টান কর্মীদের ভ্রাতৃত্ব দীর্ঘজীবী হো ‘, ‘ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক’ ইত্যাদি। বিক্ষোভকারী সমাবেশ থেকে তাদের দাবিও উল্লেখ করেছে। এগুলো হলো সিএএ-এনপিআর-এনআরসি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, সকল ডিটেনশান কেন্দ্র বন্ধ করতে হবে এবং আটক ব্যক্তিদেরকে মুক্তি দিতে হবে, সাম্প্রতিক সহিসংতার উসকে দেয়া বন্ধ করতে হবে এবং যারা সহিংসতা উসকে দিয়েছে, তাদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।
একই সাথে তাদের প্রস্তাবনায় আরও দাবি জানানো হয়েছে যাতে শাহীন বাগের বিক্ষোভকারীসহ সকল বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হামলা বন্ধ করা হয় এবং জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি ও জামিয়া ইউনিভার্সিটিতে হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
সঙ্ঘবদ্ধ সংগঠনগুলো একই সাথে পাঞ্জাব সরকার কর্তৃক এনপিআর বিষয়ে ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করার’ প্রচেষ্টার নিন্দা জানায় এবং তারা ঘোষণা দেয় যে, রাজ্যে এনপিআর বাস্তবায়নের কোন ধরণের চেষ্টা করা হলে প্রতিহত করা হবে।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিকেইউ (একতা-উগ্রাহান) এর প্রেসিডেন্ট যোগিন্দার সিং উগ্রাহান, বিকেইউ (একতা-দাকাউন্দা) এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মঞ্জিত সিং ধানের, টেক্সটাইল-হোশিয়ারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট রাজউইন্দার, মজলিস আহরার ইসলাম হিন্দু জমা মসজিদের নেতা মাওলানা মো. উসমান লুধিয়ানভি, নাউজওয়ান ভারত সভার (লালকার) নেতা বিন্নি, মোল্ডার অ্যাণ্ড স্টিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হারজিন্দারসহ অন্যরা।
নেতারা দিল্লীর দাঙ্গার সাথে ১৯৮৪ সালের শিখ গণহত্যার তুলনা করে বলেন যে, এই সহিংসতার মাধ্যমে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বাস্তবায়নের পেছনে বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্য বেরিয়ে এসেছে।
নেতৃবৃন্দ একই সাথে সাম্প্রদায়িক বিভাজন উসকে দেয়ার জন্য এবং আসল ইস্যু থেকে জনগণের মনোযোগ অন্য দিকে সরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টার কারণে বিজেপির নিন্দা করেন এবং বলেন যে, এর মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তারা অভিযোগ করেন যে, শুধু মুসলিম নয়, বরং দলিত, পিছিয়ে পড়া শ্রেণী, নির্যাতিত নাগরিক এবং সেক্যুলার ও বৈজ্ঞানিক চিন্তাবিদসহ কর্মজীবী শ্রেণীর মানুষকেও টার্গেট করা হচ্ছে। নেতারা আরও দাবি করেন যে, সরকার সিএএ-এনপিআর-এনআরসি ইস্যুকে চাঙ্গা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে এবং বিভিন্ন কর্পোরেশানের কাছে নামমাত্র মূল্যে সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে। সূত্র: এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।