মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গ্রামের নাম উমোজা। এই গ্রাম নিয়ে মানুষের আলোচনার যেন শেষ নেই। আর আলোচনা হবেই না কেন? কারণ গ্রামে পুরুষদের বসবাস করা তো দ‚রের কথা, প্রবেশই নিষিদ্ধ! প্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ ৩০ বছরেও এই গ্রামে কোনো পুরুষ প্রবেশ করেনি। কেন এমন অদ্ভুত নিয়ম চালু করা হল এই গ্রামে, আসুন জেনে নেওয়া যাক...। ১৯৯০ সালে কেনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এই গ্রামটি ধর্ষণের শিকার ১৫ নারীর উদ্যোগে গড়ে ওঠে। এই ১৫ নারী এই গ্রামে একসঙ্গে বসতি গড়ে তোলেন। পরে আশেপাশের এলাকা থেকেও নিপীড়িত নারীরা এই গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন। ম‚লত, এই গ্রামে সামাজিক ও পারিবারিক নির্যাতনের শিকার নারীরা এখানে বসবাস করেন। ২০১৫ সালে এই গ্রামে বসবাসকারী নারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৭ জনে। এই গ্রামের প্রতিটি নারীই স্বনির্ভর। তারা মেধাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে ভ‚মিকার রাখতে সক্ষম। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত এই গ্রামের সকল সদস্য। এই গ্রামের নারীদের তৈরি গয়না বর্তমানে সারা বিশ্বেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। শুধুমাত্র, গয়না তৈরির মাঝেই সীমাবদ্ধ নন এই গ্রামের নারীরা। গ্রামের উন্নয়ন ও গ্রাম পরিচালনার জন্য আইন তৈরি করে তা প্রণয়ন করে থাকেন নারীরাই। গ্রাম পরিচালনায় দায়িত্বভারও তারা পালা করে পালন করেন তারা। যার ফলে গ্রামের আইনশৃঙ্খলাও নারীদের অনুক‚লে থাকে। ফি বছর নিয়ম করে এই গ্রাম পরিচালনার দায়িত্বভার পরিবর্তন করা হয়। প্রতি বছর দুইজন নারী প্রতিনিধি গ্রাম পরিচালনা দায়িত্ব পান। বর্তমানে এই গ্রামে শিশু-সহ মোট ৪০০ জনের বাস। ছোটদের পড়াশোনার দায়িত্ব থেকে সংসার চালানোর যাবতীয় ভার বয়ে চলেছেন গ্রামের নারীরাই। দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।