Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সিরিয়া যুদ্ধে পশ্চিমা সমর্থন চায় তুরস্ক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২০, ৪:৪৫ পিএম

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র সিরিয়ার পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষ পিছিয়ে না আসায় দেখা দিয়েছে বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিব রক্ষা করতে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাস্তবিক সমর্থন দাবি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, তুর্কি-গ্রিস সীমান্তে শরণার্থী সংকট ইতোমধ্যে কঠিন আকার ধারণ করেছে। চলমান উত্তেজনা হ্রাস করতে ইউরোপীয় এবং ন্যাটো নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য এরই মধ্যে ব্রাসেলসে অবস্থান করছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। সোমবার (৯ মার্চ) ন্যাটো সেক্রেটারি জেনস স্টোলেনবার্গের সঙ্গে আলোচনার পর এরদোগান বলেছেন, ইদলিবে হামলা ও যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে আগত কয়েক লাখ শরণার্থীকে সামাল দিতে পশ্চিমা মিত্রদের সমর্থন চাইছে তুরস্ক। তিনি আরও বলেন, সংকটটি মূলত সিরিয়া থেকেই উদ্ভূত। নিরাপত্তা ও মানবিকতার দিক থেকে যা আমাদের এই অঞ্চলের জন্য বড় ধরনের হুমকি। তবে ইউরোপও এই সমস্যা থেকে নিরাপদে নেই। কেননা কোনো ইউরোপীয় দেশের এখন আর বিলাসিতা করার সুযোগ নেই।

এরদোগানের ভাষায়, এবারের লড়াইয়ে আমরা সব পশ্চিমা মিত্রের কাছ থেকে বাস্তবিক সমর্থন প্রত্যাশা করছি। তুরস্ক এতদিন একাই লড়াই চালিয়ে গেছে। তবে এই সংকটকালীন অবস্থায় ন্যাটোর সমর্থন অপরিহার্য।

বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ায় আসাদ সরকারের সামরিক অভিযান শুরুর পর তুরস্ক নিজ দেশে আশ্রয়গ্রহণকারী হাজার হাজার শরণার্থীদের ইউরোপে ঢোকানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য তারা নিজেদের সকল সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৯০ হাজার মানুষ ইদলিব ছেড়ে পালিয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।

বর্তমানে তুরস্কে আশ্রিত অবস্থায় আছে আরও ৩৫ লাখের অধিক সিরিয়ান শরণার্থী। যদিও উত্তেজনার কারণে নতুন করে শরণার্থীদের ঢলের আশঙ্কায় রয়েছে পশ্চিম ইউরোপের এই দেশটি।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কের স্থলসীমান্ত দিয়ে প্রায় ১০ হাজারের অধিক শরণার্থী গ্রিস সীমান্তে জড়ো হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত সংখ্যাটি ৭৫ হাজারে পৌঁছেছে। সূত্র: আল-জাজিরা।



 

Show all comments
  • Monjur Rashed ১০ মার্চ, ২০২০, ৫:০৮ পিএম says : 0
    When Turky can realize that it is the most neglected member of NATO ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ