মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কয়েক দিন ধরে জল্পনা চলছিলই। এ বার কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। অবশেষে সেই জল্পনা বাড়িয়ে মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে যান জ্যোতিরাদিত্য। তার পরই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে। বিজেপি তাঁকে রাজ্যসভার প্রার্থী করতে চলেছে বলে খবর। রাজভবন সূত্রে খবর, কংগ্রেসের ১৯ জন বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে কমল নাথ সরকারের পতন অনিবার্য। প্রায় কর্নাটকের কায়দাতেই মধ্যপ্রদেশেও ক্ষমতা দখল করতে চলেছে বিজেপি।
গত কয়েক দিন ধরেই রাজনৈতিক ডামাডোল চলছিল মধ্যপ্রদেশে। তার মধ্যেই সোমবার ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়কের ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ায় নাটকীয় মোড় নেয় রাজ্যের রাজনীতি। যে ১৭ জন বিধায়ক ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা সকলেই জ্যোতিরাদিত্যের ঘনিষ্ঠ। তাঁরা সমর্থন তুলে নিলে সরকারের পতন যে অনিবার্য তা স্পষ্ট বুঝেছিল কংগ্রেস। তাই সিন্ধিয়া ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের দলে ফিরিয়ে আনার সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যান কমল নাথ। সূত্রের খবর, আলোচনার জন্য সব দিক খোলা রাখা হয়েছে, এমনও নাকি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল জ্যোতিরাদিত্যকে। কিন্তু সেই প্রসতাব যে খুব একটা কাজে দেয়নি এ দিনের ছবি থেকে তা স্পষ্ট।
সোমবার রাত থেকেই জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না দল। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ ওই দিন রাতে সাংবাদিকদের বলেন, “দলের তরফে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের জানানো হয়েছে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত সিন্ধিয়া। তিনি কথা বলতে পারবেন না।” ফলে জ্যোতিরাদিত্যকে নিয়ে কংগ্রেস শিবিরে আশঙ্কা ক্রমশ বাড়তে থাকে। জল্পনাও চলতে থাকে তা হলে কি সত্যিই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্য? যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে তারা দল ভাঙানোর ব্যাপারে আগ্রহী নয়।
২৩০ বিধানসভা আসনের মধ্যে ১২০ জন বিধায়ক নিয়ে মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। যা প্রয়োজনীয় সংখ্যার থেকে ৪ বেশি। অন্য দিকে বিজেপির রয়েছে ১০৭ জন বিধায়ক। এমন জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক যদি সমর্থন তুলে নেন, তা হলে কমল নাথের সরকার টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হবে।
সূত্র: আনন্দবাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।