Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সউদীতে ৪ সিনিয়রসহ ২০ প্রিন্স আটক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

সউদী আরবের রাজপরিবারে নতুন করে শুরু হওয়া ধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সউদী বাদশা সালমানের ভাইসহ মোট ২০ জন প্রিন্সকে আটক করা হয়েছে। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত সউদী রাজপরিবারের যে ২০ জন প্রিন্সকে আটক করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রভাবশালী চার জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি। ধরপাকড় এখনো অব্যাহত রয়েছে।

পরিচয় জানা আটককৃত চার প্রিন্স হলেন সউদী বাদশাহ সালমানের একমাত্র জীবিত ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজ ও তার ছেলে ল্যান্ড ফোর্সেস ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি অথরিটির প্রধান প্রিন্স নায়েফ বিন আহমেদ এবং সাবেক ক্রাউন প্রিন্স ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন নায়েফ ও তার সৎ ভাই নাওয়াফ বিন নায়েফ। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ২০১৭ সালে গৃহবন্দী করা হয়েছিল।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু বিদেশী শক্তির সহায়তায় অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সউদীর বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রিন্সদের আটক করা হয়েছে। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আনা এমন অভিযোগে রাজা সালমান নিজেই তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

এছাড়া ৬৫ বছর বয়সী প্রভাবশালী আরেক প্রিন্স মিতেব বিন আবদুল্লাহকে আবারো আটক করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাবেক রাজা আবদুল্লাহর এ ছেলেকে একসময় সিংহাসনের উত্তরাধিকার ভাবা হতো। ২০১৭ সালের আটকাভিযানে তাকেও ধরা হয়েছিল। পরে ১০০ কোটি ডলার জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান দেশটির অভিজাত ন্যাশনাল গার্ডের সাবেক এ প্রধান। এদিকে ধরপাকড়ের মধ্যেই ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান একটি টুইট করে রাজপরিবারের সকল প্রিন্সদের তার প্রতি আনুগত্য ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছেন।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, সউদী বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা মুখোশ ও কালো পোশাক পরে রাজকীয় ব্যক্তিদের আটক করেন এবং তাদের বাড়িঘরে তল্লাশি চালায়। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সউদী সরকারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে ২০১৭ সালে যুবরাজের নির্দেশে এক ডজনের বেশি রাজ পরিবারের সদস্য, মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীকে আটক করে রিয়াদের রিজ-কার্লটন হোটেলে রাখা হয়। তাদের মধ্যেও বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। পরে সরকারের সঙ্গে ‘আপোষরফা’ হওয়ার পর আটককৃতদের মুক্তি দেয়া হয় বলে জানা যায়। সূত্র : রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Jame Kwt ৯ মার্চ, ২০২০, ১:২৯ এএম says : 0
    এগুলো সৌদি আরবের নিজস্ব ব্যাপার আমাদের মতন ফকির-মিসকিন না ওদের ব্যাপারে আলাপ করাও ঠিক না যেহেতু আমরা ওদের দেশে গোলামী করতে যাই
    Total Reply(1) Reply
    • Monjur Rashed ৯ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ পিএম says : 0
      Do not suffer from inferiority complex. We work in Saudi Arabia with our capability. We are not begger.
  • Rtr Samium Islam ৯ মার্চ, ২০২০, ১:৩০ এএম says : 0
    ইমাম মাহাদি চলে আসার সময় হয়ে গেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • S Sarker ৯ মার্চ, ২০২০, ১:৩০ এএম says : 0
    এই ভাবে মুসলমানদের নির্যাতন করছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Imran Hossen ৯ মার্চ, ২০২০, ১:৩০ এএম says : 0
    আপনাদের এই সমরাজ‍্য বেশি দিন তাকবে না আল্লাহ্ কাছে কত মানুষ বিচার দিয়েছে আপনাদের নামে
    Total Reply(0) Reply
  • Towhidul Islam ৯ মার্চ, ২০২০, ১:৩১ এএম says : 0
    বর্তমান শাসক সালমান সহ তার ছেলে মেয়ে নাতি পুতিদের রাজত্ব পাকাপোক্ত করার জন্য সালমানের এই পরিকল্পনা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সউদী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ