Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শাবনূরের অভিযোগের জবাব দিলেন অনিক

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

শাবনূরের সাথে ডির্ভোস নিয়ে মুখ খুললেন তার সাবেক স্বামী অনিক। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনে শাবনূর তাকে ডির্ভোস দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, শাবনূরকে আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ করছি, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তার প্রমাণ দিতে হবে। প্রমাণ দিতে না পারলে তাকে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে। অনিকের বিরুদ্ধে শাবনূরের অভিযোগ ছিল, সে মাদকাসক্ত, পর নারীর প্রতি আসক্ত, তাকে নির্যাতন করত, ছেলে আইজানের খোঁজ-খবর নিত না, সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন, এমন আরও অনেক অভিযোগ। এসব অভিযোগের জবাবে অনিক বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো দেওয়া হচ্ছে, জবাব দিইনি শুধু আমার সন্তান আইজানের দিকে তাকিয়ে। শাবনূর আমার সন্তানের মা, এ বিষয়টাও কাজ করেছে। এখন এসব অভিযোগের জবাব দিতে হচ্ছে। আমাকে বলা হচ্ছে পরনারীতে আসক্ত, মাদকাসক্ত। সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিইনি। আমি শাবনূরকে চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই, এসবের কোনো প্রমাণ যদি সে দিতে পারে, আমি যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব। অথচ বিয়ের পর জানতে পারি, একজন চীনা নাগরিকের সঙ্গে শাবনূরের বিয়ে হয়েছিল। স্বামী হিসেবে এটা শোনার পর বিস্মিত হয়েছিলাম। আড়াই বছর আগে একবার হঠাৎ করে কোনো কথা নেই বার্তা নেই, শরীফ নামের একজন লোকের সঙ্গে মালয়েশিয়া চলে গিয়েছিল সে। এত কিছুর পরও আমি চুপচাপ ছিলাম। বিভিন্ন মিডিয়া থেকেও জানতে চেয়েছিল, আমাদের সম্পর্ক ঠিক আছে কি না। আমি বলেছি, সব ঠিক আছে। আমার তো সমাজ আছে, সবার সঙ্গে চলতে হয়, আত্মীয়-স্বজন আছে, পরিবার আছে, পরিবারকেও সবার সঙ্গে চলতে হয়। সন্তানের দিকে তাকিয়ে তাই কাউকে কিছু বুঝতে দিইনি। এখন আমার বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে, এসব শুনে আমার বাবা অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি। মাদকাসক্তি নিয়ে অনিক বলেন, আমিই শাবনূরকে মদ্যপ অবস্থায় দেখেছি। একজন মানুষ ও স্বামী হিসেবে এসব তো মেনে নেওয়া যায় না। তাই দূরে থেকেছি। শাবনূর বাংলাদেশে স্বনামধন্য, জনপ্রিয় এবং অত্যন্ত ভালো মানের অভিনয়শিল্পী হিসেবে শ্রদ্ধা করি। সেভাবেই তার সঙ্গে আমার পরিচয়। আমার সন্তানের মা হিসেবে, আমার সাবেক স্ত্রী হিসেবেও তিনি সম্মানের দাবিদার। তাই বলে আমার সম্পর্কে যা খুশি তাই বলবে, তা মানা যায় না। আমাকে মাদকাসক্ত বলা হলো। অথচ আমি প্রতিদিন সকাল ছয়টায় ঘুম থেকে উঠি। এরপর দুই-তিন ঘণ্টা জিমে ওয়ার্কআউট করি। অনেক বেশি স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ। আমি অনেক বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবেও থাকি। একজন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ কীভাবে মাদকাসক্ত, সেটা সবার কাছে জানতে চাই। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আমার রক্ত পরীক্ষা করা হোক। যদি মাদকাসক্তের কোনো নমুনা পাওয়া যায়, তাহলে যা শাস্তি দেয়া হবে তাই মেনে নেব। শাবনূরের রক্তও পরীক্ষা করা হোক। আমি আসলে এসব মেনে নিতে পারছি না। শাবনূর বলেছেন, সন্তানের ভরণপোষণ দিই না। আমার প্রশ্ন, সন্তানের ভরণপোষণ দেয়ার হিসাব কি আমাকে রাখতে হবে? আমার ছেলে অস্ট্রেলিয়ায় থাকুক কিংবা বাংলাদেশে থাকুক সব সময় বাবা হিসেবে যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেছি। আফসোস, দেড় বছর ধরে সন্তানকে দেখার সুযোগ থেকে আমি বঞ্চিত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ