Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লিটন ৩১১, তামিম ৩১০!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষভাগটা মাশরাফিময় হয়ে থাকল। সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে হঠৎ অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন মাশরাফি। অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির শেষ সময়টা দারুণভাবে রাঙিয়েছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। আর পুরো সিরিজ? মাঠের ক্রিকেটের হিসেব করলে লিটন কুমার দাস ও তামিম ইকবালের নাম বলতে হবে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন দুজন। তিন ম্যাচে দু’জনই সেঞ্চুরি করেছেন দুটি করে। তার মধ্যে একবার করে দেড়শ ছাড়িয়ে গেছেন। কাল সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের রেকর্ডও গড়েছেন লিটন।

১৪৩ বল খেলে ১৬টি চার ৮টি ছয়ে ১৭৬ রান করেছেন এই ডানহাতি ওপেনার। সিরিজের আগের দুই ম্যাচে লিটনের রান ছিল যথাক্রমে ১২৬ ও ৯। জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যাটিং গড় ১৫৫ দশমিক ৫০ আর ১১৮ দশমিক ৭০ স্ট্রাইকরেটে লিটনের মোট রান ৩১১।

সিরিজে দুই টাইগার ওপেনার লড়েছেন একে অপরের বিপক্ষেও। লিটনের ৩১১ রানের জবাব তামিম দিয়েছেন মাত্র এক রানে পিছিয়ে (৩১০) থেকে। তিন ওয়ানডেতে বাঁহাতি অভিজ্ঞ ওপেনারের তিনটি ইনিংস যথাক্রমে ২৪, ১৫৮ ও ১২৮*। এক ম্যাচ অপরাজিত থাকা তামিমের গড় দেড়শ’র বেশি (১৫৫) আর স্ট্রাইকরেট ১০৭.৬৩। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ করেছেন তামিম-লিটন।

অবশ্য ইমরুল কায়েস এই দুজনের চেয়েও এগিয়ে। ২০১৮ সালে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩৪৯ (১১৪, ৯০ ও ১১৫) রান করেছিলেন তিনি। তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশের পক্ষে যা যেকোনো ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ড। দুই নম্বরে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে তামিমের ৩১২ রান (১১৬, ১৩২ ও ৬৪*)। এরপর সদ্য সমাপ্ত হওয়া সিরিজে লিটনের ৩১১ এবং তামিমের ৩১০।

সব মিলিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ড বাবর আজমের দখলে। ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচে ৩৬০ রনা তুলেছিলেন পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান।

বিশ্বকাপের পর চোটের কারণে দীর্ঘদিন ছিলেন দলের বাইরে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ সিরিজ দিয়েই আবারও ফিরেছেন ক্রিকেটে। ফিরেই করেছেন দুর্দান্ত পারফর্ম। খেলেছেন প্রথম আর শেষ ম্যাচ। আর দুই ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে হয়েছেন সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ব্যাট হাতে এক ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ঝড়ও তুলেছেন। ১৫ বলে ৩ ছক্কায় করেছেন ২৮ রান।
তিন ম্যাচেই দল হারলেও ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। দুই হাফসেঞ্চুরিতে ৩ ম্যাচে তিনি করেছেন ১৪৫ রান। সিরিজের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রাজা। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দুইজন। ৩ ম্যাচে সমান ৬টি করে উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম ও জিম্বাবুয়ের কার্ল মুম্বা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লিটন


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ