মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নিজেদের ২১ সেনার প্রাণের বিনিময়ে তুরস্কের দুই সৈন্য হত্যার মাশুল দিতে হল সিরিয়ার আসাদ সরকারকে। সিরিয়ায় অস্ত্রবিরতিতে এরদোগান-পুতিন সমঝোতায় হওয়ার পরেই ইদলিবে তুরস্কের উপরে হামলা চালায় সরকারি বাহিনী। এদিকে, সিরিয়া ইস্যুতে তুরস্ককে সমর্থন জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে গতকাল এই তথ্য জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার শহর ইদলিবে বৃহস্পতিবার সরকারী বাহিনীর হামলায় তুরস্কের দুই সেনা নিহত ও তিনজন আহত হয়। এর পরে তুরস্কের পাল্টা হামলায় সরকারী বাহিনীর ২১ সদস্য নিহত, দুইটি আর্টিলারি ও দুইটি মিসাইল লঞ্চার ধ্বংস হয়। গত বৃহস্পতিবার মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের মধ্যে বৈঠকের পরে সিরিয়ায় উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। তার পরেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে, সিরিয়ায় তুরস্কের প্রতি অটল সমর্থন জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বৃহস্পতিবার স্টেট ডিপার্টমেন্টে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি যে, সিরিয়ায় আসাদ সরকার, রাশিয়া এবং ইরানের কর্মকান্ডে সৃষ্ট ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে আমাদের ন্যাটো মিত্র তুরস্কের।’ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধর্মের হাজার হাজার সিরিয়ান, যাদের বেশিরভাগই মুসলিম, তারা ইদলিবে আসাদ সরকার, রাশিয়া এবং ইরানের কর্মকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তুরস্কের সরকার আমাদের কাছে কিছু বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছে। আমরা তাদের সব অনুরোধ মূল্যায়ন করছি।’
পম্পেও জানিয়েছেন, পেন্টাগন এবং মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সংঘটিত অব্যাহত মানবিক সঙ্কট বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে তা নির্ধারণের জন্য কাজ করছে।
জাতিসংঘের হিসাবে, গত ডিসেম্বর থেকে সমগ্র সিরিয়ায় কর্তৃত্ব বিস্তারে রাশিয়ার বিমান শক্তি এবং ইরানি যোদ্ধাদের সহায়তায় আসাদ সরকার অভিযান শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গত রোববার ইদলিবে আসাদ সরকারের বিমান হামলায় নিজেদের ৩৪ সেনার মৃত্যু হলে ‘অপারেশন স্প্রিং শিল্ড’ চালু করে তুরস্ক। সিরিয়ার সাধারণ নাগরিক ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী দলগুলোকে রক্ষার জন্য রাশিয়ার সাথে ২০১৮ সোচি চুক্তির অংশ হিসাবে ইদলিবে তুরস্কের সেনা অবস্থান করেছিল।
২০১৮ সালে, তুরস্ক এবং রাশিয়া ইদলিবকে একটি ‘ডি-এস্কেলেশন’ জোনে পরিণত করতে সম্মত হয়েছিল, যেখানে সব ধরণের আগ্রাসন স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ ছিল। তবে আসাদ সরকার এবং তার মিত্ররা, বিশেষ করে ইরান-সমর্থিত বাহিনীগুলো সব শর্ত ধারাবাহিকভাবে ভঙ্গ করেছে এবং ওই অঞ্চলে ঘন ঘন আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এ সব হামলায় ইদলিব ‘ডি-এস্কেলেশন’ জোনে এখন পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার ৩০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে ও লক্ষাধিক মানুষকে শরণার্থী পরিণত করেছে। যারা তুরস্কের সীমান্তে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। সূত্র : রয়টার্স, মিডল ইস্ট মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।