Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিল্লিতে পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা ছড়ানো হয়, নতুন ভিডিওতে প্রমাণ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২০, ৫:০৭ পিএম

দিল্লি সহিংসতার আরও একটি ভিডিও এবার প্রকাশ্যে এসেছে। এই ভিডিও দেখলে শিউরে উঠবেন যে কেউ। হাই-রেজোলিউশনের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তর-পূর্ব দিল্লির যমুনা বিহারে যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল একদল জনতা সেই সময় সেখানকার একটি হাসপাতালের ছাদ থেকে কালো জ্যাকেট পরে হেলমেট মাথায় এক ব্যক্তি রাস্তায় থাকা জনতার ভিড় লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে ভারতের সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানায়, তাদের হাতে যে ভিডিওটি এসেছে সেটি তোলা হয়েছে মোহন নার্সিং হোম তথা হাসপাতালের বিপরীতে থাকা একটি বহুতল থেকে। ভিডিওতে দেখা যায় যে, ওই সময় কিছু মুখোশধারী ব্যক্তি হিংসা ছড়িয়ে দিতে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। গত সপ্তাহে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-আন্দোলন ঘিরে শুরু হওয়া সংঘর্ষ পরে পরিকল্পিত মুসলিম নিধন অভিযানে রূপ নেয়। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি করে সেখানে। সহিংসতার বলি হয়ে প্রাণ হারান অন্তত ৫৩জন।

এর আগেও দিল্লি সহিংসতার কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়। তবে সাম্প্রতিক যে ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে তা অনেক বেশি পরিষ্কার। ফলে আরও ভালো করে বোঝা যাচ্ছে যে কীভাবে ভারতের রাজধানীর বুকে হিংসা ছড়ানোর বিষয়ে কিছু লোক সক্রিয় ছিল। ভিডিওতে যে ব্যক্তিকে গুলি চালাতে দেখা যাচ্ছে তার মুখ হেলমেটে ঢাকা থাকায় তাকে অবশ্য চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। কিন্তু তার পাশে থাকা অন্যান্য ব্যক্তিদের ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে ভিডিওটিতে।

যমুনা বিহার অঞ্চলে বেশিরভাগই হিন্দু মানুষজন থাকেন এবং চাঁদবাগ অঞ্চলটি মুসলিম অধ্যুষিত। এই দুই অঞ্চলের দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সেদিন হানাহানির ঘটনা ঘটে। যদিও এই সাম্প্রতিক ভিডিওটি প্রসঙ্গে কোনও পুলিশ প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে, এক যুবকের দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হচ্ছে, তার পেটের নিচের দিকে রক্তাক্ত। পরে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। জানা যায়, শাহিদ খান আলভী নামে বছর বাইশের এক অটোরিকশা চালক ছিলেন ওই যুবক, তিনি মূলত উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা, ওই সহিংসতা চলাকালীন ঘটনাস্থলে এসে পড়েন তিনি। তবে হাসপাতালের উপর থেকে চালানো গুলিতেই তিনি মারা যান কিনা তা স্পষ্ট নয়।

গত সপ্তাহে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে সংঘর্ষ বাঁধে, পরে সেই সংঘর্ষ ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় রূপ নেয়। উত্তর পূর্ব দিল্লির বেশ কয়েকটি অঞ্চলে পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনের মদদে মুসলিম নিধন অভিযান শুরু হলে গোটা রাজধানীতেই আতঙ্ক ছড়ায়, পাল্লা দিয়ে ছড়ায় গুজবও।

জানা গেছে, ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে টানা চার দিন উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ছড়িয়ে পড়া ওই সহিংসতার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩। আহত দুই শতাধিক মানুষ। ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় হাজার খানেক মানুষকে। কিছু বিজেপি নেতার বিদ্বেষমূলক প্ররোচনা তথা উস্কানির জেরেই দিল্লিতে হিংসা ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। এই নিয়ে মামলাও করেছেন দিল্লি হিংসায় নিহতদের পরিবার। সূত্র: এনডিটিভি।

 



 

Show all comments
  • jack ali ৬ মার্চ, ২০২০, ৯:০৯ পিএম says : 1
    O'Allah destroy Butcher Modi and who invited him in our Holy Land..... Ameen
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ