মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের আগে গন্ডগোল দেখা দিয়েছিল মুম্বাইভিত্তিক সমবায় ব্যাংক পিএমসি-তে। উঠেছিল আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। এর ফলে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকার অতিরিক্ত তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রিজার্ভ ব্যাংক। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল এবার ইয়েস ব্যাংকের ক্ষেত্রেও। এর ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা।
শুক্রবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ইয়েস ব্যাংকের এটিএম কাউন্টারগুলিতে লাইন দিতে দেখা যায় প্রচুর মানুষকে। যদিও বেশিরভাগ কাউন্টার গতকাল রাত ১০টার পর থেকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের তরফে। এদিকে এই ঘটনার জেরে শুক্রবার সকাল থেকেই হু হু করে পড়তে শুরু করে ইয়েস ব্যাংকের শেয়ারের দাম। বাজার খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই ৮০ শতাংশ কমে যায়। এর ফলে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাংকের তরফে এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে এবার থেকে আর ৫০ হাজার টাকার বেশি তোলা যাবে না ইয়েস ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে। তবে জরুরিকালীন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবা, উচ্চশিক্ষা, বিয়ে ও কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে গ্রাহকদের। তবে অন্যদের ক্ষেত্রে পরবর্তী নির্দেশ না জারি হওয়া পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার বেশি তোলা যাবে না। এর পাশাপাশি ওই নির্দেশিকায় অবিলম্বে ইয়েস ব্যাংকের পরিচালন পর্ষদ খারিজ করে দিতে বলা হয়েছে। স্টেট ব্যাংকের প্রাক্তন সিএফও প্রশান্ত কিশোরকে ব্যাংকটির প্রশাসক পদে নিয়োগ করা হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাংক সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত মূলধন ও অনাদায়ী ঋণের বোঝা বইতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছে বেসরকারি এই ব্যাংকটি। এই নিয়ে গত ছমাস ধরেই গন্ডগোল চলছিল। সমস্যা সমাধানের জন্য পরিচালন পর্ষদের সঙ্গে বেশ কয়েক দফায় বৈঠক করেন রিজার্ভ ব্যাংকের কর্তারা। এরপরই বৃহস্পতিবার বিকেলে এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়। সূত্র: ব্লুমবার্গ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।